নিউজবাংলা: ১৪ জুলাই, মঙ্গলবার :

নিউজবাংলা ডেস্ক: মন্ত্রিসভায় আরেকটি বড় ধরনের রদবদল আসছে। ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য নতুন মন্ত্রীদের প্রোফাইল তৈরির কাজও শেষ হয়েছে।

তাদের জন্য পতাকাবাহী গাড়ি তৈরি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রীদের শপথ হতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে সরকার ও দলের দায়িত্বশীল কেউ সরাসরি মুখ খুলতে চাইছেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের এ রদবদলে ছয় থেকে সাতজন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপু মনি, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব:) ফারুক খান, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম বিএসসি ও তারানা হালিম। মঙ্গলবার দুপুরের পর রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করানো হতে পারে।

অন্য দিকে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীকে মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় দেয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে বিতর্ক এড়াতে তাদেরকে মঙ্গলবারই মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া না-ও হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে সূত্রগুলো।

মন্ত্রিসভার রদবদল হলে অনেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন হতে পারে বলে জানা গেছে।

নতুন মন্ত্রিসভার তালিকায় নামের গুঞ্জন থাকা একজন নেতা আলাপকালে বলেন, মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে ৬০ থেকে ৭০ জন নেতা তদবির করছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী তার টিমে কাকে রাখবেন আর কাকে বাদ দেবেন তা তিনিই ভালো জানেন।

দীর্ঘ দিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা ছিল মন্ত্রিসভায় রদবদলের। বেশ কয়েকজনকে নিয়ে জোর গুঞ্জনও ছিল। কিন্তু হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কাণ্ডারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দফতর নিয়ে নেন।

আশরাফুল ইসলামের দফতর দেন মন্ত্রিসভার আরেক প্রভাবশালী সদস্য ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। তিনি নিজের মন্ত্রণালয়ের বাইরে নতুন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে বেশ কিছু দিন ধরেই কয়েকটি মন্ত্রণালয় খালি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অন্যতম।
শোনা যাচ্ছে মন্ত্রিসভায় রদবদল হলে এবার দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করা হতে পারে।

টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। একই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আরেক দফা মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেন। সে সময় এ এইচ মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নজরুল ইসলামকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। এ ছাড়া ওই সময় আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

তবে আশরাফের দফতর নিয়ে নেয়ার পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেট সফরের সময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রিসভায় আরো কিছু রদবদলের ইঙ্গিত দেন।

নিউজবাংলা/একে