নিউজবাংলা: ১৭ জুলাই, শুক্রবার :

ঢাকা: আমরা প্রায় প্রতিদিনই কারো না কারো বক্তৃতা-বিবৃতি শুনতে পাই। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কি সুন্দরভাবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে লক্ষ হাজার মানুষের সামনে অবলীলায় ছড়িয়ে যান কথার মালা। কিংবা কোনো অনুষ্ঠানের উপস্থাপক, কিংবা কোনো শিক্ষক।

কেউ অসংখ্য দর্শকের সামনে আবার কেউ অগণিত ছাত্র-ছাত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকেন। বক্তৃতা একটি শিল্প মাধ্যম। যারা এই শিল্পটি আয়ত্ব করতে চান, তাদের জন্যই নিচের সাতটি টিপস। পাঠক, চেষ্টা করে দেখতে পারেন। হয়তো আপনিও হতে পারেন একজন ভালো বক্তা।

বিশ্ব সেরা বক্তাদের বক্তৃতা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তাদের সকলের ভেতর কিছু ব্যাপারে সাদৃশ্য ছিল। এই সাদৃশ্যমান বিষয়গুলোই পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞরা এই টিপসগুলো সাজিয়েছেন।

১. বক্তার ব্যক্তিত্ব:

স্বীকার করুন আর নাই করুন, বক্তৃতার বিষয়বস্তুর বাইরেও বক্তার ব্যক্তিত্বও শ্রোতা-দর্শকদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। বক্তার পোশাক, তার আচরণ, কথা বলার ভঙ্গি, অডিয়েন্স বা শ্রোতাদের সাথে যোগাযোগের ভঙ্গিমা- সবকিছু মিলিয়ে বক্তার ব্যক্তিত্ব প্রকাশিত হয়।

২. বক্তৃতার বিষয়ের ওপর বক্তার জ্ঞান:

বক্তা কখনোই বলবেন না যে, তিনি জানেন না। যে বিষয়ের ওপর বক্তৃতা দেওযা হবে, সে বিষয়ের ওপর যথাযথ জ্ঞান থাকা বাঞ্চনীয়। এজন্য শুনতে হবে, পড়তে হবে প্রচুর। মনে রাখতে হবে, জানার জন্য পড়ার কোনো বিকল্প নাই।

৩. দর্শক-শ্রোতা সম্পর্কে ধারনা:

আপনি যখন বক্তা, তখন আপনাকে অবশ্যই আপনার দর্শক-শ্রোতাদের সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকতে হবে। তাদের পেশা, তাদের চাওয়া, তাদের সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদি সম্পর্কে ধারনা থাকলে আপনার বক্তৃতায় সুবিধা হবে।

৪. আবেগ প্রক্ষেপন:

শ্রোতা হয়তো আপনি কি বলেছেন, তা ভুলে যাবে। কিন্তু বিষয়বস্তুর ওপর আপনার আলোচনা সে মনে রাখবে। তবেই আপনি একজন ভালো বক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই বক্তব্যের আবেগকে নিজের বক্তৃতায় ধারন করে যথাযথভাবে প্রক্ষেপন করতে হবে। যেন তা শ্রোতার হৃদয়ে গিয়ে আঘাত করে।

৫. বক্তার আচরণ:

বলা হয়ে থাকে, সাধারণত শ্রোতার সাথে বক্তার যোগাযোগের ৬০ শতাংশই হয়ে থাকে কথা না বলে। আচরণের মাধ্যমে। আপনি আপনার বক্তৃতার ঢঙের মাধ্যমে শ্রোতার সাথে আপনার নিজের যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন।

৬. মজা করা:

সাধারণত একটানা বক্তৃতা একঘেয়ে হয়ে থাকে। ফলে শ্রোতা বিরক্ত হতে পারে। একজন ভালো বক্তা, শ্রোতার মনোযোগ ধরে রাখার জন্য বক্তৃতার ফাঁকে বিষয় অনুযায়ী নানা মজাদার কথা বলে থাকেন।

৭. অনুশীলন:

একজন ভালো বক্তা হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো অনুশীলন করা। নিয়মিত অনুশীলন। কণ্ঠ ও বাকযন্ত্র স্বাভাবিক ও পরিষ্কার রাখার জন্য নিয়মিত কণ্ঠসাধনা করা। নিয়মিত পড়াশোনা করা। প্রচুর পরিমাণে বক্তৃতার রেকর্ড শোনা। এবং একান্তে নিয়মিত বক্তৃতার অনুশীলন করা। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সম্পাদনা: তাহমিনা শাম্মী

 

 

নিউজবাংলা/একে