একটু বৃষ্টি হলেই এ সড়ক দিয়ে পায়ে হাটা দায় হয়ে যায়। যানবাহন চলাচলের সময় সড়কের খানাখন্দে আর কাদা পানিতে পথচারিদের নাকানি চুবানি খেতে হচ্ছে হর-হামেশা।
তার পরেও থেমে নেই জীবনের পথ চলা । এ দৃশ্য দীর্ঘ্যদিন ধরে চলতে থাকায়, দেখে মনে হচ্ছে এ নিয়ে যেনো কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। এ এলাকার বড় বড় আমলা, জনপ্রতিনিধি ও নেতারা সচারাচর এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। তাদের সাদা কাপড়ে কাদা লাগে। তাতে কি আসে যায়, ধুয়ে ফেললে সব চলে যায়। তবে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা সদরের নগরকান্দা বাজার সড়কের এ বেহাল দশায় এ এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। সংস্কারের অভাবে সড়কটি এখন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পরেছে। সড়কের বেহাল দশার কারনে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর জমে থাকে হাটু পানি। অনেক সময় কাদা পানির কারনে রাস্তার খানাখন্দ টের না পাওয়ায় রাস্তার গর্তে পা পড়ে অনেক পথচারির পা ভাঙ্গতে দেখা গেছে । হতাশা গ্রস্থ এলাকাবাসী অনেকটা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে এ মরন ফাঁদে পা দিচ্ছে বার বার। অনেক দিন ধরে চলতে থাকা এ দৃশ্যের সমাপ্তী আদৌ হবে কিনা যেনো কেউ জানে না। তার পরেও অনেকেরই প্রশ্ন , এ রাস্তার উন্নয়ন আদৌ হবে তো বা হলেও কারা করবে উন্নয়নের কাজ ? কেউ কেউ মনে করছেন এ সড়ক সংস্কারের দায়িত্ব নগরকান্দা বাজার কমিটির, কারো ধারনা সংস্কারের দায়িত্ব নগরকান্দা পৌরসভার। আবার নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান সংস্কারের দায়িত্ব সড়ক ও জনপদ বিভাগের। এলাকাবাসির দাবি, যথাযত কর্তৃপক্ষ এ সড়কটি সংস্কারের গুরুত্ব অনুধাবন করে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিবেন। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি’র প্রিয় নগরকান্দার এ বেহাল সড়কের সংস্কার করে সাধারন মানুষের বহু দিনের দুর্ভোগ দুর্দশা দূর করা হবে, এ বিশ্বাস সকল প্রাণে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) ফারহানা হুসনা এ প্রতিবেদক কে মুঠোফোনে বলেন, “বৃষ্টির কারনে সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যেখান থেকে খবর পাচ্ছি সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি লোক পাঠিয়ে বিষয়টি দেখে যত দ্রুত সম্ভব যথাযত ব্যাবস্থা নিবো।”