নিউজবাংলা: ২৭জুলাই, সোমবার :

ঢাকা: ইরাকের উত্তরে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পিকেকের ঘাঁটি লক্ষ্য করে আবারো বিমান হামলা চালিয়ে তুরস্কের বিমানবাহিনী। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো এ হামলাকে সমর্থন জানিয়েছে। তবে, তুরস্ককে সংখ্যালঘু কুর্দিদের সাথে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ন্যাটো।

শুক্রবার ইরাকের যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল তুরস্ক, ওই একই এলাকায় পিকেকের ঘাঁটি লক্ষ্য করে দ্বিতীয় পর্যায়ের এই হামলা চালায় তুরস্ক।

শুক্রবার পিকেকে এবং সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের অবস্থানগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালায় তুরস্ক।

এদিকে, সন্ত্রাসবাদ দমনে তুরস্কের এই বিমান হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো।

তবে, একই সাথে সংখ্যালঘু কুর্দিদের সাথে দুই বছরের যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটানো এই হামলা যেন পিকেকের সাথে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে তুরস্ককে সে ব্যপারটি মাথায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছে ন্যাটো।

এদিকে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আঙ্কারার অনুরোধে মঙ্গলবার এক জরুরী বৈঠক আহ্বান করেছে ন্যাটো। ন্যাটো মহাসচিব জেনস ষ্টোলটেন বার্গ বলেছেন, বৈঠকটি তুরস্কের অনুরোধে ডাকা হয়েছে এবং ন্যাটো চুক্তির ধারা অনুযায়ী, কোন সদস্য রাষ্ট্র তার ভৌগলিক সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়লে এমন অনুরোধ করতে পারেন।

তুরস্কের ওপর গত কিছুদিন ধরে এমন হামলা হচ্ছে, ফলে আমরা সে অনুরোধ রক্ষা করেছি।

অন্যদিকে, পিকেকের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তুর্কি বোমারু বিমান সেখানকার ইরবিল ও দোহুকের উত্তরে হামলা চালায়। এর আগে শনিবার, তুরস্কের উত্তর পূর্বে একটি সেনাবহরে গাড়ি বোমা হামলায় দুই জন নিহত এবং চারজন সেনাসদস্য আহত হয়। এজন্য আইএস এবং কুর্দিরা দায়ী বলে ধারণা করা হয়।

নিউজবাংলা/একে