নিউজবাংলা: ১৩ জানুয়ারি, বুধবার:
কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ॥
সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীসহ ছয় জনের বিরূদ্ধে অপহরণ মামলা করার প্রতিবাদে মৎস্য বন্দর আলীপুরে শত শত মানুষ মানববন্ধন করেছে।
বুধবার সকাল ১০ টায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে হিন্দু, মুসলীম, রাখাইনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। তারা সংখ্যালঘু বিষ্ণু কর্মকারসহ ৬জনের নামে দায়ের করা অপহরন ও গুম করার মামলাটি মিথ্যা দাবি করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অতি সম্প্রতি বেহালা গ্রামের জগদীশ চন্দ্র বেপারী এ মামলাটি করেছেন। মামলার প্রধান আসামি স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিষ্ণু কর্মকার জানান, লতাচাপলী মৌজার এস এ ৯৫৯ নং খতিয়ানের ৯২৫ নং দাগসহ অপর ১৭টি দাগের অংশ থেকে ১.১৭ একর জমি ক্রয় করেন। বর্তমানে উক্ত জমি ওয়ারিশ সূত্রে জগদীশ চন্দ্র বেপারী ও যতীন্দ্রনাথ বেপারী দাবি করে গত ২৫ নবেম্বর পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে কলাপাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জগদীশ চন্দ্র বেপারী বাদী হয়ে বিষ্ণু কর্মকার, মোঃ ইউসুফ মুসুল্লী, মোঃ ওসমান গণি, মোঃ জালাল আহমেদ, মোঃ আহসান, মোঃ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তার ভাই যতীন বেপারীকে খুন করে লাশ গুম করার অভিযোগ করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা।
তিনি আরও জানান, মামলায় যাকে গুম দেখানো হয়েছে তিনি ২০/২৫ বছর পূর্বে তার মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভারতে চলে গেছেন। অথচ যতীন্দ্রনাথ বেপারী নিজেকে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের বেহালা গ্রামের বাসিন্দা বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন।
অপর এক আসামি মো: ওসমান গনি জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে পূঁিজ করে যতীন্দ্রনাথ বেপারীকে নিজেরাই লুকিয়ে রেখে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করা হচ্ছে। এমনকি তাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে ওই পরিবারটি ৩৬ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। যার অডিও রেকর্ড তাদের কাছে রয়েছে। এমনকি দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করলে গুম মামলা তুলে নেয়া হবে বলেও তার দাবি।
টাকা দিলে মামলা তুলে নেয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে যতীন্দ্রনাথ বেপারীর ভাতিজা দ্বীজেন্দ্রনাথ বেপারী বলেন, ‘এ বিষয় আমার সাথে কোন কথা হয়নি।’
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments