নিউজবাংলা: ১৯ জানুয়ারি, মঙ্গলবার:
ফরাজী মো.ইমরান, কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥
সবজি পল্লী খ্যাত নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সবজি চাষীদের উৎপাদিত শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসল বাজারজাত করতে পাখিমারা খালের উপর একটি ব্রিজ করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।
ব্রিজটির কাজ সম্পুর্ণভাবে সমাপ্ত হলে নীলগঞ্জের মজিদপুর, কুমিরমারা, ছোট কুমিরমারা, এলেমপুর, বাইনতলা গ্রামের ছয় শতাধিক চাষী তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সামগ্রী বাজারজাত করতে ব্যাপক সুবিধা পাবে। কমবে পরিবহন ব্যয়। পুরনও হতে যাচ্ছে সে স্বপ্ন। তবে কবে নাগাদ এ কাজটি শেষ হচ্ছে তা সঠিকভাবে জানাতে পারছেন না উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ।
চাকামইয়া-কলাপাড়া সংযোগ পরিত্যক্ত আয়রন ব্রিজের স্ট্রাকচার দিয়ে পাখিমারার খালে এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরূ হয় প্রায় দেড় বছর পূর্বে। বাড়তি স্ট্রাকচার কেনার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। শুধুমাত্র স্ট্রাকচার স্থাপন করতে ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সুরেশ নামের এক ঠিকাদার এ কাজটি করছেন। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আয়রণ স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়নি। রয়েছে নানা ধরনের অনিয়ম আর ত্রূটির অভিযোগ। রেল পাটি, আয়রন বীম, ক্রস এ্যাঙ্গেল যথাযথভাবে দেয়া হয়নি। এখন কাজ বন্ধ রয়েছে।
কৃষকসহ স্কুল-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীর সুবিধার্থে ইউপি সদস্য কামাল হোসেন গ্রামবাসীর সহায়তার ব্রিজের এক পাশে কাঠের তক্তার পাটাতন দিয়ে চলাচল উপযোগী করে রেখেছন। ব্রিজটির মুল কাঠামো এতোটা নড়বড়ে যে শুধুমাত্র মানুষ হাটার সময়ই ঠক ঠক করে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ কেরামত হোসেন নামের এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী এ কাজটি দৃশ্যমান ভাবে করছেন। যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। এ ব্রিজটির তদরকিতে নিয়োজিত এলজিইডির প্রকৌশলী আতিক হোসেন ব্রিজটির দৈর্ঘ কত, কবে কাজ শেষ হবে তা কিছুই জানাতে পারেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, আয়রন স্ট্রাকচারের কাজ এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। সবকিছু যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া এ ব্রিজটির পাটাতনে স্লাব দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এডিবি থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments