নিউজবাংলা: ১১ আগস্ট, মঙ্গলবার:

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জে বাসায় ঢুকে মা ও ভাইকে আটকে রেখে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া হচ্ছে পরিবারকে। ধর্ষক ফয়সাল আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের ভাগিনা হওয়ায় আতঙ্কে দিন পার করছে পরিবারটি।

নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলামের দাবি, অপরাধ করে বারবার পার পেয়ে যাওয়ায় নূর হোসেনের পরিবার ও তার সহযোগীরা তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে থাকতেন তিনি। বাবা মারা যাওয়ায় পার্লারে কাজ করে কোনোমতে সংসার টিকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু পার্লারে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতো একই এলাকার বখাটে ফয়সাল ও তার সহযোগীরা।

স্বজনদের অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট রাতে ফয়সাল ও তার সহযোগীরা মেয়েটির বাড়িতে ঢুকে মা ও ভাইকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় ফয়সাল তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। এমনকি পরে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। ধর্ষক ফয়সাল সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের ভাগিনা হওয়ায় আতঙ্কে দিন পার করছে পরিবারটি।

সাত খুন মামলার বাদী ও নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলামের দাবি, প্রভাবশালী হওয়ায় অপরাধ করে বারবার পার পেয়ে যাওয়ায় নূর হোসেনের সহযোগীদের অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক আজহারুল হক বলেন, এরইমধ্যে ফয়সালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ৮ আগস্ট ফয়সাল, প্রান্ত ও রাসেলকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার মা।

 

নিউজবাংলা/একে