নিউজবাংলা: ২৩আগষ্ট,রোববার:

 

মুন্সীগঞ্জ: নাব্য সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে রবিবার সকালেও সাত শতাধিক যানবাহন আটকে আছে। ৪র্থ দিনেও এ নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। তবে স্বাভাবিক রয়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল।

নাব্য সংকটের কারণে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রবিবার পর্যন্ত দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এ রুটে চলাচলকারী ১৮টি ফেরির মধ্যে ১৬টি ফেরিই বন্ধ রয়েছে।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইউনুছ আলী জানান, ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় নদীর দুপাড়ে সাত শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন অপেক্ষায় রয়েছে। ফলে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট হয়ে শিবচরের পাঁচ্চর পর্যন্ত সড়কের ৩ সারিতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।মাওয়াতেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ঘাট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চ্যানেলের গভীরতা এখন যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে ছোট ও ডাম্প ফেরিগুলো হয়তো চালানো সম্ভব। কিন্তু পুরনো ইঞ্জিন দুর্বল হয়ে যাওয়ায় পদ্মার প্রচণ্ড স্রোতের বিপরীতে সেগুলো এগোতে পারছে না।

ঘাট কর্মকর্তারা বলছেন, দুপুরের আগে জোয়ার এলে চ্যানেলের গভীরতা কিছুটা বাড়বে। তখন আবার ফেরি ছাড়ার চেষ্টা করবেন তারা।

বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার মো. শাহজাহান জানান, স্বাভাবিক ফেরি চলার জন্য চ্যানেলে গভীরতা প্রয়োজন অন্তত সাড়ে ৭ ফুট। কিন্তু শনিবার সকালে জোয়ারের সময়ও লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের প্রায় একশ ফুট এলাকায় গভীরতা ছিল ছয় ফুট।

বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ম্যানেজার শেখর চন্দ্র রায় জানান, এই নৌ রুটের চারটি রো রো ফেরি দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ। এতোদিন বাকি ১৪টি মাঝারি ও ছোট ফেরি দিয়ে পারাপার চালু রাখা হলেও গত বৃহস্পতিবার থেকে তাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

এতে দুই তীরে অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন । সময় বেশি লাগায় পণ্য পরিবহনেও খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

 

নিউজবাংলা/একে