নিউজবাংলা: ২৩আগষ্ট,রোববার:

ঢাকা: সংসদ সদস্য পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

রোববার সকালে ইসির শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি নিজেই এই ঘোষণা দেন।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করব। স্পিকারকে শিগগিরই পদত্যাগপত্র দিব। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে গেলাম। এ নিয়ে আর শুনানি করার দরকার নেই।’

এরপর ইসির আদালত তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল বিষয়ে শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি ঘোষণা করে।

এই শুনানিতে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।

তবে শুনানি কক্ষে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। এ নিয়ে সাংবাদিকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এর আগে সকালে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল বিষয়ে আপিল বিভাগ ‘নো অর্ডার’ দেয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কমুার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ লতিফ সিদ্দিকীর আবেদন শুনে এই ‘নো অর্ডার’ দেয়।

ফলে এ বিষয়ে লতিফের রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকে এবং আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এই নেতা এরপর ইসির শুনানিতে অংশ নেন।

গত ১৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। এতে লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়।

অন্যদিকে, লতিফ সিদ্দিকী তার সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকা না থাকা নিয়ে শুনানি করতে ইসির এখতিয়ার নেই এমন দাবি করে প্রথমে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিট আদালত খারিজ করে দিলে তিনি চেম্বার জজ আদালতের শরণাপন্ন হন। চেম্বার জজ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে পাঠান, যেখানে আজ হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকল।

উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ, মহানবী (সা.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত হন। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয় সরকার।

এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরো পরে তার প্রাথমিক সদস্য পদও বাতিল করে আওয়ামী লীগ। আর সবশেষ তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
২৩ আগস্ট ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ
ঢাকা : সংসদ সদস্য পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

রোববার সকালে ইসির শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি নিজেই এই ঘোষণা দেন।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করব। স্পিকারকে শিগগিরই পদত্যাগপত্র দিব। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে গেলাম। এ নিয়ে আর শুনানি করার দরকার নেই।’

এরপর ইসির আদালত তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল বিষয়ে শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি ঘোষণা করে।

এই শুনানিতে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।

তবে শুনানি কক্ষে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। এ নিয়ে সাংবাদিকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এর আগে সকালে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল বিষয়ে আপিল বিভাগ ‘নো অর্ডার’ দেয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কমুার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ লতিফ সিদ্দিকীর আবেদন শুনে এই ‘নো অর্ডার’ দেয়।

ফলে এ বিষয়ে লতিফের রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকে এবং আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এই নেতা এরপর ইসির শুনানিতে অংশ নেন।

গত ১৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। এতে লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়।

অন্যদিকে, লতিফ সিদ্দিকী তার সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকা না থাকা নিয়ে শুনানি করতে ইসির এখতিয়ার নেই এমন দাবি করে প্রথমে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিট আদালত খারিজ করে দিলে তিনি চেম্বার জজ আদালতের শরণাপন্ন হন। চেম্বার জজ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে পাঠান, যেখানে আজ হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকল।

উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ, মহানবী (সা.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত হন। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয় সরকার।

এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরো পরে তার প্রাথমিক সদস্য পদও বাতিল করে আওয়ামী লীগ। আর সবশেষ তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

নিউজবাংলা/একে