ঢাকা: মায়ের গর্ভে বেড়ে উঠছে দুই যমজ শিশু। কিন্তু তারা জন্ম নেয়নি। গর্ভেই তারা বেড়ে উঠেছে বিগত ৪০ বছর ধরে! এ কাহিনী কোনো হরর সিনেমাতেই সম্ভব। কিন্তু জেনি কেভানাহ এমনই লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি এক চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরই এই বিরল ঘটনা প্রকাশ পায়।
লন্ডনের ওই নারীর প্রচণ্ড পিরিয়ড হচ্ছিল। জেনির ধারণা ছিল, জন্মনিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত কয়েলের কারণে এমন হচ্ছে। কিন্তু আসলে কি ঘটেছে তা স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি।
চিকিৎসক আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করলেন তার। এতে আবিষ্কার হলো, কেভানাহ-এর গর্ভের বামদিকে কিছু বেড়ে উঠেছে ১০ সেন্টিমিটার। তৎক্ষণাৎ সার্জারির সিদ্ধান্ত নিলেন চিকিৎসক। আর অপারেশন থিয়েটারেই ডাক্তারদের চক্ষু ছানাবড়া। গর্ভে বেড়ে ওঠা অজানা জিনিসটি আর কিছুই না, দুটো যমজ। এদের একটি মুখ, একটি চোখ এবং মাথায় চুলও গজিয়েছে। জন্ম না নেওয়া দুটো শিশু! ওদের কোনো হৃদযন্ত্র ছিল না, এমনকি মস্তিষ্কও নেই!
অপারেশনের পর সুস্থ হয়েছেন জেনি। সাংবাদিকদের জানান, এই ভয়ংকর বিষয়টি মনে করতে চাই না। কারণ ওদের নিয়ে কষ্ট পেতে চাই না আমি। কেবল ভাবছি, এমন কিছু আমার হয়েছিল যার কারণে মারা যেতাম আমি।
টুইটারে জেনি লিখেছেন, মনে হচ্ছে আমার গর্ভে দুটো এলিয়েন জন্মেছিল।
লন্ডনের টুইকহ্যামের এই অধিবাসী আরো জানান, সচরাচর ডাক্তারের কাছে যেতেন না তিনি। দুই সন্তানের জননী তিনি। ওদের জন্ম দিতে কোনো সমস্যা হয়নি তার, জানান তার গাইনকোলজিস্ট। তা ছাড়া জন্ম না নেওয়া যমজের কোনো চিহ্ন তখন ধরা পড়েনি।
চিকিৎসকরা জানান, কেভানাহর যমজ শিশুর গর্ভাবস্থা অনেকটা এক্টোপিক প্রেগনেন্সির মতো। তার গর্ভ এই শিশু দুটোকে রক্ষা করেছে এবং এদের বেড়ে ওঠার সহায়ক ছিল। এরা যদি আরো বড় হতো, তবে প্রচুর রক্তক্ষরণে মারা যেতে পারতেন জেনি।
জেনি তার মাকে ওই যমজের ছবি দেখিয়েছেন। কষ্ট পেয়েছেন দুজনই। হাজার হলেও এরা তারই জন্ম না নেওয়া যমজ সন্তান।