নিউজবাংলা: ২৩আগষ্ট,রোববার:
ঢাকা: ক্রসফায়ার আইনে শাসনের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সরকারের নীতি নয়। সরকার এসব করছেন না বলেও জানান তিনি।

ক্রসফায়ার করে দলে বাগিয়ে আনাও সরকারের নীতি নয়। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ের তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘চলমান রাজনৈতিক ঘটনাবলীর ওপর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা কোন সাংঘর্ষিক নয় বা আইনের শাসনের পরিপন্থি নয়। সরকার বিচার বহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন করে না। ৫৭ ধারা প্রশাসন সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে না পারলে আদালত আছে। এ ধারা নিয়ে কেউ কথা বললে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘অপরাধী যেই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না’। তবে অপরাধের ধরণ নির্ণয়ে সাইবার আইন করা হচ্ছে। শিশু-কিশোর, সাধারণ মানুষসহ রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সাইবার আইন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই আইনের সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন,‘গণতন্ত্রের কপাট খোলাই আছে। গণতন্ত্র অবরুদ্ধও নয়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জঙ্গিরা। গণতন্ত্রের খোলা দরজা দিয়ে আগুন সন্ত্রাসী, নাশকতাকারীদের নিয়ে পেট্রোল বোমা ও গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে বেগম জিয়া নিজেই গণতন্ত্রের চৌকাঠের ওপারে চলে গেছেন। গণতন্ত্রের কপাট খোলাই থাকবে। কিন্তু আগুন সন্ত্রাসী-জঙ্গিরা চৌকাঠের ওপারেই থাকবেন।

বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, আগুন সন্ত্রাসী খুনিদের নিয়ে গণতন্ত্রের বাগানে ঢুকে বেগম খালেদা জিয়া আবারও তা তছনছ করার দুরভিসন্ধি করছেন।
হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে গণরায় নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর গণতন্ত্রকে আরও মুক্ত ও অবাধ করা এবং গণতন্ত্রকে একটি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সামরিক শাসকরা সংবিধানে অগণতান্ত্রিক সংশোধনী যুক্ত করেছিলেন। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে সংবিধানকে জঞ্জালমুক্ত করার কাজ কাজ করছে সরকার। আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির ওপর সংঘটিত সবচেয়ে বড় ও জঘন্য অপরাধ যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছে সরকার।
সংবিধান থেকে জঞ্জাল অপাসারণ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর থেকেই সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য আক্রমণ শুরু হয় বলে মন্ত্রী জানান।

নিউজবাংলা/একে