নিউজবাংলা- ১৯ সেপ্টেম্বর, শনিবার:

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের রৌমারী সড়ক ও জনপথের অধীনে রৌমারী-দাঁতভাঙ্গা সড়কের ঝগড়ার চর ভাঙ্গা স্থান ৬০ মাসেও মেরামতের কোন উদ্যোগে নেওয়া হয়নি।

ফলে উপজেলার উত্তর-পুর্বাংশের বিশাল জনপথের সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ভাঙ্গা স্থানে তৈরি করা বাঁসের সেতুটিও অযোগ্য হয়ে পড়ায় নতুন করে চাঁদা তুলে বাঁসের সাঁকো নির্মান করে এলাকাবাসী। এই বাঁসের সাঁকোয় প্রতিনিয়ত স্কুল ও মাদ্রসা-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঝুকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছে। আজ শনিবার সরেজমিনে সাধারন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের নিত্যদিনের দুর্ভোগের কথা। দাঁতভাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আলমগীর হোসেন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“জনগুরুত্ব র্পূণ সড়কটি এতদিন থেকে অচলাবস্থায় রয়েছে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। ওই ভাঙ্গার কারণে প্রশাসনের লোকজনও যায় না ওইসব বিচ্ছিন্ন এলাকায়। সাধারণ মানুষের মতোই স্কুল ও মাদ্রসা- কলেজের শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।” দাঁতভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসনা হেনা বলেন, ‘বাঁসের ভাঙ্গা সেতু দিয়া আসা যাওয়া করা যায় না।’ দাঁতভাঙ্গা ফুলজান বছিরিয়া দাখিল মাদ্রসার শিক্ষার্থী আশুরা পারভীন ‘ভাঙ্গা সেতু পার হওয়ার প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ে মানুষ। সেতু থিকা নিচে পইরা বইখাতা ভিজা গেছে কয়েকজনের।’ সেখানকার লোক জন বলেন, সাখাওয়াত হোসেন সাখা সাংবাদিক বাহে তোমরা লেখালেখি করেন। তাহলে সরকার ও মন্ত্রীরা পত্র-পত্রিকা পড়বো ,তখন বুঝি আমাদের এই ডিসি রোডের ভাঙ্গন সম্পর্কে জানবে, আর তখনেই আমাগোর রাস্তাটা মেরামত করবে বলে আমরা আশা করি। কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদের (সওজ) অধীনে রৌমারী-দাঁতভাঙ্গা সড়কের ওই স্থানে গত ২০১৩ সালের বন্যায় ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর র্দীঘ সারে ৩ বছর কেটে গেলেও তা সচল করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ওই স্থানে স্লুইস গেট র্নিমাণের দাবিতে এলাবাসী কয়েক দফায় বিক্ষোব মিছিল ও সমাবেশ করছে। আরেক দিখে মাটি ভরাট করার জন্য দফায় দফায় মিছিল সমাবেশ করছে । এর মধ্য বিপাকে পরেছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরাও। সড়ক ও জনপদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করছে কিন্তু কতৃপক্ষ চুপ করে বসে আছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী জানান, ওই ভাঙ্গা স্থানে স্লুইস গেট র্নিমানে জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। তারা শুধু বলেছেন প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ শুরু করা হবে। এভাবে তো সারে ৩ বছর পার হয়ে গেছে। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, যে আমি সেই বাঁসের সাঁকোয় গিয়ে ছিলাম সেখানকার জনসাধারণ যে ভাবে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় পরছে। আমি উর্ধ্যতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন যে অতিজরুরি সমস্যা সমধান করা হবে। কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ওই ভাঙ্গা স্থানে স্লুইস গেট র্নিমাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

নিউজবাংলা/একে