ঠাকুরগাঁওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনে পাঠদান আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
নিউজবাংলা – ২০ সেপ্টেম্বর, রোববার:
সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঝুঁকিপুর্ণ ভবনে পাঠদান করায় আতঙ্কে রযেছেন ঠাকুরগাঁও শহরে অবস্থিত সিএম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় ভবনের শ্রেণি কক্ষের ভিতরের ছাদ ও বারান্দায় বিশাল আকৃতির ফাটল।
এছাড়াও ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, ১৯৭৭ সালে শহরের টিকাপাড়া এলাকায় নির্মাণ করা হয় সিএম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমান ওই বিদ্যালয়ে প্রায় ৮শ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টির পাকা ভবনের ১৪ টি কক্ষের মধ্যে শ্রেণিকক্ষ ১০টি এবং ৪টি শিক্ষকদের অফিস কক্ষ। ভবনের দেয়ালজুড়ে বড় বড় ফাটল, আবার কোথাও কোথাও ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ায় বেরিয়ে এসেছে মূল কাঠামোর রড । বর্ষায় ফাটল দিয়ে পানি চুয়ে পড়ে শ্রেণিকক্ষে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষেই ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
ভবনটির নির্মাণ মানসম্মত না হওয়ায় দেয়াল জুড়ে ফাটল ও ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ছে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।
স্কুলটির জেএসসি পরীক্ষার্থী অনামিকা রায় বলেন, ঝুঁকিপুর্ণ শ্রেণিকক্ষে আমাদের ক্লাস করতে হয় ভয়ে ভয়ে। বর্ষার সময় শ্রেণিকক্ষের ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। এতে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়।
এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম বলেন, ক্লাস চলাকালীন সময়ে অনেকবার ছাদের প্লাস্টার খসে পড়েছে। আমরা সবসময় ভয়ে ভয়ে ক্লাস করে থাকি।
অভিভাবক ফজলুল হক জানান, আমার মেয়ে প্রতিদিনয় স্কুলে যায়। কিন্তু বিদ্যালয়টির কক্ষগুলোর যে অবস্থা আমরা তাতে চিন্তায় থাকি। এছাড়াও বিদ্যালয়টি যে কোন মুহুর্তে ধসে পড়তে পারে। আর এতে বড় দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিভাবক ইয়াসমিন আক্তার, সাধন অধিকারী, নব কুমার চক্রবর্তী জানান, শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে খুব দ্রুত এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সংস্কার করা প্রয়োজন। তাই তারা সরকারের দৃষ্টি কামনা করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপেন্দ্র নাথ ঝাঁ জানান, নির্মাণ কাজ মানসম্মত না হওয়ায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ে ৮শ শিক্ষার্থী ও ১৫ জন শিক্ষক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এ ঝুকিপুর্ণ ভবনটি পুনরায় নির্মাণের জন্য বিভিন্ন মহলে বলা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অনিল কুমার জানান, ভবনটি সংস্কারের জন্য কয়েক দফা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন অর্থ বরাদ্দ আসেনি।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার আজাহার আলী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনটির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশ এলেই খুব দ্রুত এই ভবনটি সংস্কার করা হবে।
নিউজবাংলা/একে