নিউজবাংলা – ২১ সেপ্টেম্বর, সোমবার:

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে ৪জন নিহত হওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত সকল পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার নয় আইনের আওয়াতায় এনে মানুষ হত্যার দায়ে ফৌজদারি আইনে বিচারের আওতায় এনে দন্ডিত করতে হবে।

তা না হলে তারা বার বার এই কাজটাই করবে বলে বন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, পুলিশকে সরকার অস্ত্র দিয়েছে জনগনের জীবনের নিরাপত্তা দিতে। অন্যায়ভাবে নিরীহ জনগনের উপর গুলি চালানোর জন্য নয়। কিন্তু পুলিশ সন্ত্রাসীদের মতো নির্বিচারে অন্যায়ভাবে নিরীহ জনগনের উপর গুলি বর্ষন করে মানুষ হত্যা করেছে তাদের শুধু প্রত্যাহর করে নেয়াই যথেষ্ট নয়। তাদের কে মানুষ খুনের অপরাধে দন্ডিত করতে হবে। আমরা এর দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার দেখতে চাই।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘাটাইলের সেই নির্যাতিত মা-ছেলের সাথে কথা বলার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমি যদি ওইদিন থাকতাম তাহলে আমিও ওই কালিহাতীর বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতাম। মানুষ কত পাষন্ড হলে এমন ভাবে নির্যাতন করে। আমরা এখন এক অসভ্য সমাজে বসবাস করছি। যেভাবে মা-ছেলেকে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করে তাদের মান সন্মান ধুলিসাৎ করে দেয়া হয়েছে তা দেখে পুরো জাতী স্তম্ভিত। সাধারন মানুষ এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। আর পুলিশ সেই অন্যয়ের প্রতিবাদকারী সাধারন জনগনের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে এটা পুলিশের ঔধর্ত মুলক আচরন।

তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত ওই সব পাষন্ডকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার দাবী জানান। যাতে করে ভবিষতে আর কেউ এ ধরনের অপরাধ করতে সাহস না করে।

ড. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিনের পক্ষ থেক নির্যাতিতদের সকল প্রকার সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেয়া হয়।শেষে দুপুরে কালিহাতী ও ঘাটাইলে নিহতদের পরিবারের সাথে কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুব হোসেন, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় সরকার সহ জেলার প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

নিউজবাংলা/একে