নিউজবাংলা: মঙ্গলবার, ৩০জুন:

সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মুখোমুখী অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের এবং ছাত্রলীগ কর্মীরা।

উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের নবম দিনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে উপাচার্য ভবন অবরোধ করে আন্দোলনকরী শিক্ষকরা। আর সকাল দশটায় ছাত্রলীগ কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আন্দোলনকরী শিক্ষকের মুসামনে অবস্থান নেয়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, উপাচার্য আমিনুল হক ভূঁইয়া স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গতি হারিয়েছে। তাকে অপসারণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন তারা।

তবে আমিনুল হক ভূইয়া তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে অসত্য দাবি করে বলছেন, পদত্যাগ করবেন না তিনি। প্রধানমন্ত্রী তাকে চার বছরের জন্য এই পদে পাঠিয়েছেন। কিছু শিক্ষকের আন্দোলনের কারণে দুই বছরের মধ্যে তিনি সরে যাবেন না।

তবে উপাচার্যের পক্ষেও আছেন শিক্ষকদের একাংশ। তারা বলছেন, শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এ ধরনের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাইছেন তারা। উপাচার্যের পক্ষের শিক্ষকদের একজন বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কবির হোসেন। ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ভাল নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কিছুই ভালভাবে চলছে না। দুশ্চিন্তায় আমি নিজেও ক্লাস নিতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যত শীঘ্রই সম্ভব এ অবস্থার নিরসন করতে হবে’।

আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বলছেন, ক্লাস-পরীক্ষায় বাধা দিচ্ছেন না তারা। তাই শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। তবে তারা বাধা না দিলেও নিজেরা ক্লাসে না যাওয়ায় নয়দিন ধরে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

এই অবস্থায় শিক্ষকদের এই অবস্থান থেকে সরে আসার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সকালে বিক্ষোভ করে ক্যাম্পাসে।

ছাত্রলীগ ও উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকদের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

নিউজবাংলা/একে