নিউজবাংলা: ৫জুলাই, রোববার:

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা:

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ হাজীপুর গ্রামে বিল্লাল হোসেন নামের এক স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে নির্মম নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। মাদকাসক্ত ওই স্বামী স্ত্রীকে সিগারেটের ছ্যাঁকা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখেন।

পরে ওই গৃহবধূকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে নির্যাতিত রেহানা আক্তার জানান, তার স্বামী নেশাগ্রস্ত। দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তাকে কয়েক দফায় পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। তিনি রাতে ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় গলার নিচে দুটি সিগারেটের ছ্যাঁকা দেন তার স্বামী। যন্ত্রণায় এখন ঘুমের মধ্যেও তাকে আঁতকে উঠতে হয়। তার গলার নিচে সিগারেটের ছ্যাঁকা ও হাত-পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রামগঞ্জের দক্ষিণ হাজীপুর গ্রামের শামছুল হকের ছেলে বিল্লাল হোসেন পার্শ্ববর্তী রায়পুর উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের বর্ডার এলাকার কৃষক রুহুল আমিনের মেয়ে রেহানা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ফার্নিচারসহ একাধিকবার যৌতুকের টাকা দেয়া হয় বিল্লালকে। তাদের সংসারে হাবিবা নামের তিন বছরের এক মেয়ে রয়েছে।

সম্প্রতি বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন বিল্লাল। সর্বশেষ মঙ্গলবার বিকেলে রেহানা অপরগতা প্রকাশ করেন। এতে বিল্লাল, তার ভাই সাইফুল ও পরিবারের সদস্যরা তাকে বেদম পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেন। পরে রাস্তার পাশে ফেলে রাখলে এক সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

রেহানার বাবা রুহুল আমিন বলেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুকলোভী স্বামী প্রায়ই কারণে-অকারণে আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে আসছেন। মেয়ের পুরো শরীরে এখন জখমের চিহ্ন রয়েছে। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছি না। এ ঘটনায় আমরা মামলা করবো। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে স্বামী বিল্লাল হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

রামগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোলায়মান চৌধুরী বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় কেউ আসেননি। লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। –

নিউজবাংলা/একে