৪০ হাজার সেনা ছাটাই করছে যুক্তরাষ্ট্র
নিউজবাংলা: ৮জুলাই, বুধবার:
ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ৪০ হাজার সেনা ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী দুই বছরে পর্যায়ক্রমে এসব সেনাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হবে। সামরিক খাতে ব্যয় সংকোচনের জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্যয় সংকোচনের এই পদক্ষেপের আওতায় সেনাবাহিনীতে কর্মরত বেসামরিক ১৭ হাজার কর্মকর্তাকেও ছাটাই করা হবে। সব মিলিয়ে ৫৭ হাজার চাকরিজীবীকে ছাটাই করবে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন গণমাধ্যম ইউএস টুডের বরাত দিয়ে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ সেনা ও কর্মকর্তা ছাটাইয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। তাই যদি হয়, তবে ২০১৭ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে সেনা সংখ্যা দাঁড়াবে ৪ লাখ ৫০ হাজারে।
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫ লাখ ৭০ হাজার সেনাসদস্য ছিল। এ সময় ইরাক ও আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন ছিল।
ইরাক ও আফগানিস্তানে বড় দুটি যুদ্ধ করার পর সামরিক বাজেট কমানোর ওপর গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সাল থেকে সেনা ছাটাই শুরু হয়। সে সময়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেলের ইচ্ছা ছিল, সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪ লাখ ৫০ হাজারে নামিয়ে আনার। এখন সে পথেই হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে আফগানিস্তানে এখনো ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। ২০১৬ সাল নাগাদ তাদের দেশে ফেরার কথা। ফলে কর্মী ছাটাইয়ের প্রক্রিয়া ২০১৭ সাল পর্যন্ত চলবে।
অন্যদিকে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে ৩ হাজার সেনা রয়েছে। ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকার ও আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেশটির সরকারবিরোধী বিদ্রোহী যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সেনা মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মঙ্গলবার গণমাধ্যমে খবর হয়েছে, মে মাস থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৬০ যোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে মার্কিন সেনারা।
ছাটাই প্রক্রিয়া শেষ হলে ১৯৪০ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বহরে সদস্য সংখ্যা হবে সর্বনি¤œ। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ২ লাখ ৭০ হাজার সেনা নিয়োগ দেয়।
২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার আগের বছর যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার।
এদিকে নতুন অর্থের অভাবে বাজেট বরাদ্দ না হলে আগামী অক্টোবর মাস থেকে ৩০ হাজার সেনা এমনিতেই ছাটাই হয়ে যাবে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেটের আকার অনেকটাই কমে আসবে।
নিউজবাংলা/একে