নিউজবাংলা: ২০জুলাই, সোমবার :
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর: যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে সিঁধ কেটে ঢুকে ঘুমন্ত স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে স্বামী আবদুল মজিদকে আটক করেছে পুলিশ।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী তাহেরা ইয়াছমিনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

রায়পুর উপজেলার উদমারা গ্রামের ওই ঘটনায় করা মামলায় সোমবার ভোররাতে ঢাকার শাহবাগ থেকে আবদুল মজিদকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সোমবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার শাহবাগ থেকে অভিযুক্ত স্বামী আবদুল মজিদকে গ্রেফতার করে রায়পুর থানার পুলিশ। আবদুল মজিদ শরীয়তপুর জেলার গোষাইরহাট থানার বসকাঠি গ্রামের মো. সামছুল হক সরদারের ছেলে।

ইয়াসমীনের পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আবদুল মজিদ তার স্ত্রী তাহেরা ইয়াছমিনের পরিবারের কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করে আসছিলেন। যৌতুকের টাকা না দেয়ায় স্ত্রীকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী আবদুল মজিদ।

এর জের ধরে গত ১৬ জুলাই রাতে শরীয়তপুর জেলার গ্রামের বাড়ি থেকে গোপনে রায়পুর উপজেলার উদমারা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে আসে আবদুল মজিদ। পরে রাত একটার সময় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে স্বামী। ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী তাহেরা ইয়াছমিনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাহেরা ইয়াছমিনকে উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

১৬ জুলাই তাহেরা ইয়াছমিনের বাবা হাফেজ তোফায়েল আহমদ বাদী হয়ে আবদুল মজিদকে আসামিকে রায়পুর থানায় একটি মামলা করেন।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আবদুল মজিদকে ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে সে শ্বশুরবাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

নিউজবাংলা/একে