নিউজবাংলা: ২০জুলাই, সোমবার :

 নিউজবাংলা ডেস্ক: চারদিকে যখন চলছে ঈদ আনন্দ সকলে যে সময় ব্যস্ত ঈদের খুশি নিয়ে। আর ঠিক সেই সময় ঈদের খুশিও নেই আমেজও নেই কুড়িগ্রামের চিলমারীর রমনা মডেল ইউনিয়নের তেলীপাড়া ও পাঁচগ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষের।

শুধুই ভয় আর ভয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছে গ্রামবাসী। গ্রেপ্তার আর চুরির ভয় তাদের যেন ঈদের আনন্দ ছিনিয়ে নিয়েছে। এই দুটি পুরুষশূন্য গ্রামে বর্তমানে মহিলারাও নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।

এলাকাবাসী জানায়, আসামি ছিনতাই ও পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় উক্ত গ্রামে পুলিশি গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গে চুরির আতঙ্ক দিন দিন বেড়েই চলেছে। আসামির তালিকা বহির্ভূতদের নাম নতুন করে লিখে আনায় এ আতঙ্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই গ্রামে রমজানের ইফতার, সেহরির ও ঈদের আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে নানা উৎকণ্ঠার মাঝে দু-একজন মহিলা বাড়িতে থাকলেও পুরুষরা গ্রামছাড়া হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কর্মরতরাও ফিরতে পারছে না।

উল্লেখ্য, গত ২২শে জুন উপজেলার মালেক মোড় তেলিপাড়া এলাকার জহুরুল হকের মেয়ের সঙে শরীফেরহাট বেলেরভিটা এলাকার আমজাদ আলীর পুত্র রিংকু মিয়া প্রেমের জের ধরে দেখা করতে আসলে এলাকাবাসী রিংকুকে আটক করে পার্শ্ববর্তী পাঁচগ্রাম এলাকার মতিয়ারের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করে। খবর পেয়ে রিংকুর বাবার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিংকুকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আনার সময় এলাকাবাসী বাধা দেয়।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১জন কে আসামি করে আরও এক/দেড়’শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হলে পুলিশ প্রেমিক-প্রেমিকাসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং আসামি গ্রেপ্তারে ওই এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখে। সরেজমিনে, এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কিছু বাড়িতে শুধু মহিলা মানুষ থাকলেও অধিকাংশ বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এ সময় দেলাবর হোসেনে ৪র্থ শ্রেণীতেপড়ুয়া মেয়ে স্বপ্না কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলতে থাকে পুলিশ এসে আমার বাবা-মা ও বোন-দুলাভাইয়ের নাম লিখে নিয়ে যাওয়ায় তারা সকলে বাড়ি থেকে চলে গেছে, আমি বাড়িতে একা থাকছি রাতে খুব ভয় লাগে।

রাবেয়া বেওয়া (৭০), রহিমা (৫০), মকফেল (৭০), মতিয়ার রহমান (৫০) সহ আরও অনেকে দুঃখ করে বলেন, আসামি না হয়েও অজ্ঞাতনানা আসামির ভয়ে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে, কাজ-কাম করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে পুলিশি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। নতুন করে আসামির তালিকা বহির্ভূতদের নাম আনার ব্যাপারে কথা হলে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম সত্যতা স্বীকার করেন বলেন তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করা হচ্ছে।

 

 

নিউজবাংলা/একে