নিউজবাং লা: ২০আগস্ট, বৃহস্পতিবার:
ঢাকা: ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার জন্য কম জল-ঘোলা করেনি পাকিস্তান। র্যাংকিংয়ে অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশকে টপকে চ্যম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জিম্বাবুয়েতে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার পরিকল্পনা আঁটে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

তবে শ্রীলংকার বিপক্ষে গেল ওয়ানডে সিরিজ ভালো পারফরম্যান্স করায় আজহার আলির দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিশ্চিত হয়ে যায়। যে কারণে তিন জাতির টুর্নামেন্ট থেকে সরে আসে পিসিবি। এই ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি এক পাকিস্তানি, তিনি এহসান মানি। আইসিসির সাবেক এই সভাপতির মতে, পাকিস্তান সুযোগের সদ্বব্যবহার করেছে। তবে এটি ক্রিকেট খেলার স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ আটে থাকা দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাবে। এক সময় পাকিস্তানের শীর্ষ আটে থাকা অনিশ্চিত থাকায় ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার জন্য ১৭ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার পরিকল্পনা করে পিসিবি। তবে ডেটলাইনের মধ্যে নিজেদের শীর্ষ আটে থাকা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে পাকিস্তান।
এদিকে পাকিস্তান নিশ্চিত অবস্থানে থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হুমকিতে পড়েছে। ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিতে পারলে ক্যারিবিয়ানরা সেই সুযোগ পেতে পারতো। তবে সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের সম্ভাবনাও হুমকির মুখে পড়তো। সেই কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজের পথে হাঁটেনি পাকিস্তান। এই ব্যাপারটি মোটেই পছন্দ হয়নি এহসান মানি’র।
২০০৩ থেকে ২০০৬ সালে আইসিসির সভাপতির দায়িত্ব পালন করা এহসান মানি বলেন, ‘প্রকৃত সত্য হলো পাকিস্তান ক্রিকেটীয় কোনো কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে সরে আসেনি। (নিজেদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করার জন্যই তারা এমনটা করেছে) এটি ক্রিকেটের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।’
তিন জাতির টুর্নামেন্ট থেকে সরে এসে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। ত্রিদেশীয় সিরিজে খেললে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা হুমকির মুখে পড়তে পারতো। এই কারণেই পিসিবি পিছু হটেছে বলে মনে করেন এহসান মানি।
মানি বলেন, ‘গত বছর ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম কর্মসূচিতে (এফটিফি) আইসিসি সংশোধনী আনায় যেকোনো দল বা বোর্ড চাইলেই কোনো সিরিজ আয়োজন বা বাতিল করার সুযোগ পাচ্ছে। আর পাকিস্তান সেই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছে। এই ঘটনাটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, কী অন্ধভাবে ক্রিকেট বোর্ডগুলো নিজেদের পরিণতির কথা চিন্তা না করেই এফটিফিতে পরিবর্তন আনতে সম্মত হচ্ছে।’
এদিকে ত্রিদেশীয় সিরিজ বাতিল করে ওয়েস্ট ইন্জিজের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার স্বপ্নকে চুরমার করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি) পিসিবির ওপর বেশ চটেছে। ডব্লিউআইসিবি’র প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্যামেরুন ও সিইও মাইকেল মুরহেড উভয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার আশা ভেঙে দেয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন।

নিউজবাংলা/একে