নিউজবাংলা: ২৩আগষ্ট,রোববার:

ঢাকা: মায়ের দুধকে শিশুর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ খাবার হিসেবে অভিহিত করা হয়। তবে সম্প্রতি মায়ের দুধে পিএফএএস নামে একটি রাসায়নিক উপাদানের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, যা বিশেষজ্ঞদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তবে এ কারণে মায়ের দুধ খাওয়া কমানো নয় বরং কিভাবে মায়ের দুধ থেকে এ উপাদানটি দূর করা যায়, তা নিয়েই বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএএনএস।

 

মূলত পিএফএএস বা পারফ্লিউওরিনেটেড অ্যালকাইলেট সাবস্টেন্সেস (perfluorinated alkylate substances- PFAS) একটি রাসায়নিক পদার্থ, যা শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত হয়। এ পণ্যটি বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে পানি, গ্রিস ও স্টেইন প্রতিরোধী হিসেবে গড়তে। এটি দেহে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে প্রবেশ করলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস ও ক্যান্সারসহ নানা রোগ হতে পারে।

তবে পিএফএএস বর্তমানে নানাভাবে আমাদের খাদ্যচক্রে চলে এসেছে। অনেকের রক্তেই পিএফএএস উদ্বেগজনক মাত্রায় রয়েছে। আর এভাবে তা মায়ের দুধেও প্রবেশ করছে। মায়ের দুধের সঙ্গে পিএফএএস শিশুর দেহেও প্রবেশ করছে।

সম্প্রতি এক গবেষণায় বিষয়টি জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের হাভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর এনভায়রনমেন্টাল হেলথের গবেষক প্রফেসর ফিলিপ গ্র্যান্ডজিন বলেন, ‘মায়ের দুধ পান নিরুৎসাহিত করার কোনো কারণ নেই কিন্তু আমরা এ দূষক পদার্থটির বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এটি খুবই বিপজ্জনক বয়সে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চলে যাচ্ছে।’

প্রফেসর গ্র্যান্ডজিন আরো বলেন, ‘আমরা জানি খুব সামান্য পরিমাণ পিএফএএস মায়ের দুধে থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের গুরুত্বপূর্ণ রক্ত পরীক্ষাতেও এটি দেখা গেছে যে, মায়ের দুধ পানের সঙ্গে এর মাত্রার সম্পর্ক পাওয়া যাচ্ছে।’
গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি জার্নালে।

নিউজবাংলা/একে