নিউজবাংলা: ২৮আগষ্ট, শুক্রবার:
ঢাকা: লিবিয়া উপকূলে দুটি নৌকাডুবিতে বাংলাদেশিসহ কয়েকশ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুয়ারা বন্দরের কাছে নৌকা দুটি থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকশ মানুষ সেখানে মারা গেছে।

 

বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়, একটি হাসপাতালে অন্তত একশ মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে যাদের মধ্যে সিরিয়া, বাংলাদেশ ও সাব সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর নাগরিক রয়েছেন।

প্রথম যে নৌকাটি বৃহস্পতিবার সকালে সাহায্যের জন্য সংকেত দেয় সেটিতে ৫০ জনের মত শরণার্থী ছিল। তবে দ্বিতীয় যে নৌকাটি পরে ডুবে যায় সেটিতে ছিল চারশ’র মত শরণার্থী।

লিবিয়ার কোস্টগার্ড বলছে সেখানে এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে, তবে আশংকা করা হচ্ছে নৌকাতে যারা ছিলেন তাদের বেশিরভাগ মারা গেছেন।

লিবিয়ার কোস্ট গার্ডের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, উদ্ধারকর্মীরা নৌকা দুটি থেকে ২০১ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও অনেকেই নৌকাডুবির সময় ভেতরে আটকে ছিলেন। অন্তত ১০০ মরদেহ উদ্ধার করে জুয়ারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন।

উদ্ধার করা অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে ১৪৭ জনকে ত্রিপোলির পশ্চিমে সাবরাথায় একটি ‘ডিটেনশন সেন্টারে’ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে রয়টার্সের খবরে জানানো হযেছে।

সিরিয়া, বাংলাদেশ ও সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলো থেকে যেসব শরণার্থী আসছিল তারা এই মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হয়েছেন বলে জানাচ্ছেন ঐ বাসিন্দা। তবে এই তথ্যটির সত্যতা এখনো যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

জাতিসংঘ বলছে এ বছরে লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে নৌকায় করে সমুদ্র পথে যাওয়ার চেষ্টা করলে এ পর্যন্ত দুই হাজার চারশ’র বেশি শরণার্থী মারা গেছে।

এদের অনেকেই লিবিয়ার রাজনৈতিক সংকটের কারণে মানবপাচারকারিদের সহায়তায় নৌকায় করে বিপদসংকুল এই সমুদ্র পথে যাত্রা করছে।

নিউজবাংলা/একে