নিউজবাংলা: ২৭আগষ্ট, বৃহস্পতিবার:

ঢাকা: সিলেট থেকে নেপাল। দূরত্ব কত হবে? যতই হোক, সন্ধ্যায় লাল-সবুজের পতাকা আরেকবার যদি বিজয়ী হয়ে ওড়ে, তবে সব দূরত্ব মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে।

চায়ের দেশে শাওনরা যে বাঁধনহারা উল্লাস এনেছিলেন, তারই রেশ সাহস যোগাচ্ছে স্বপ্ন দেখার। ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন।

বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটা ৪৫ মিনিটে নেপালের ললিতপুর শহরের আনফা কমপ্লেক্স গ্রাউন্ডে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। ম্যাচটি নেপালের স্যাটেলাইট চ্যানেল ‘কান্তিপুর গোল্ড’ সরাসরি সম্প্রচার করবে। বাংলাদেশের দর্শকদের দেখতে হলে ইউটিউব চ্যানেলে (http://tv.goalnepal.com/) ঢুঁ মারতে হবে।

বাংলাদেশের কিশোররা ভুটানকে হারিয়ে রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে ওঠে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত আত্মঘাতী গোলে হেরে যায়। ওই ম্যাচে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যদের রক্ষণভাগ বেশ এলোমেলো মনে হয়েছিল। আজ জিততে হলে এই পজিশনে শক্তি বাড়ানোর বিকল্প নেই। কোচও বিষয়টা ভালোভাবে জানেন।

‘দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে গেলেও আমরা একদম খারাপ খেলিনি। নেপালকে চাপে রেখেছিলাম। কিন্তু নিজেদের ভুলে দুটি গোল হজম করায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি,’ ফোনে নেপাল থেকে বলছিলেন টিটু, ‘ভারত এই আসরের অন্যতম সেরা ব্যালান্সড দল। তবে আমরাও কোনোদিক থেকে পিছিয়ে নেই। মানসিক, শারীরিকভাবে আমার ছেলেরাও ওদের টেক্কা দেয়ার ক্ষমতা রাখে।’

‘এই ম্যাচ জিততে হলে আমাদের ভিন্নভাবে খেলতে হবে। ছেলেরা সেভাবেই তৈরি আছে,’ বলছিলেন আত্মবিশ্বাসী টিটু, ‘ভারত আমাদের সরাসরি আক্রমণের সুযোগ দিবে না। কারণ ওদের মাঝ মাঠ অনেক শক্তিশালী। গোছানো। সেক্ষেত্রে আমাদের সাইড দিয়ে আক্রমণে যেতে হবে। আমরা সাইডলাইনে শক্তি বাড়ানোর চিন্তা করছি।’ বললেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই খেলোয়াড়।

টিটু এও জানালেন আজকের ম্যাচে রক্ষণে পরিবর্তন আনতে চান তিনি, ‘ডিফেন্স গোছাতে অনেক কাজ করেছি। কারণ নেপালের বিপক্ষে ডিফেন্ডাররা বেশ কিছু ভুল করেছিল। এই পজিশনে পরিবর্তন আনার চিন্তা আছে।’

সিলেটে অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ ব্যবধানে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। টিটু ওই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে ছেলেদের টাইব্রেকারের জন্য অনুশীলন করিয়েছেন, ‘ম্যাচের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ছেলেরা যেন সামাল দিতে পারে, সেভাবেই তাদের প্রস্তুত করেছি।’ ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপাল থেকে ইথারে ভেসে আসে ‘পোড় খাওয়া’ এক কোচের সুর।

নিউজবাংলা/একে