হবিগঞ্জে কিশোরকে হত্যা অভিযোগ
নিউজবাংলা – ২৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার:
এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল চারিনাও গ্রামে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে বোন ও বোন জামাতার হাতে কিশোর ভাইকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া তার শরীরে ও অন্ডকোষে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের নাম ফজল মিয়া। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার ঘটেছে।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত এর পিতা সুরত আলী জানান, গত রবিবার তার ১ম স্ত্রীর ঘরের কন্যা সেলিনা আক্তার (২৫) ও তার স্বামী ইছাক আলী ভৈরব বেড়ানোর কথা বলে ফজলকে তাদের সাথে নিয়ে যায়। এরপরে ফজলের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করলেও কোন সুউত্তর তারা দেয়নি। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় সেলিনা, ইছাক ও কামাল মিয়া ফজলের রক্তমাখা লাশ সেলিনার রান্না ঘরের পাশে ফেলে রেখে তাদেরকে জানায়। তারা ঘুম থেকে উঠে দেখে ফজলের রক্তমাখা লাশ।
এসময় তারা ধারণা করেন ফজলকে তারা পৈত্রিক সম্পত্তির লোভে লোমহর্ষকভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা জানায় কে বা কারা তাকে হত্যা করে লাশ ভৈরব ফেলে রাখে। পরে তারা লাশ নিয়ে বাড়ি আসে।
এ ঘটনা ভৈরব থানার ওসিকে জানালে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। হবিগঞ্জ থানাকে অবগত করেন। হবিগঞ্জ থানার ওসি বলেন ভৈরব থানাকে অবগত করেন। এ নিয়ে দুই থানায় শুরু হয় লাশ নিয়ে টানাটানি।
বৃদ্ধ সুরত আলী নিরূপায় হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দিলে গত বুধবার সন্ধ্যায় এসআই ছানা উল্লাহ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। লাশের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাক, মুখ তেতলানো ও ফজলের অন্ড কোষে আঘাত রয়েছে।
সুরত আলী আরো জানান, তার পুত্রকে পরিকল্পিতভাবে তার মেয়ে সেলিনা, জামাই ইছাক আলী ও সহযোগী কামাল মিয়া, বাচ্চু মিয়া হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করার পর থেকে উল্লেখিতরা গা ঢাকা দিয়েছে।
এব্যাপারে সদর থানার এসআই ছানাউল্লাহ জানান, লাশের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হত্যা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া এ মুর্হুতে কিছু বলা যাচ্ছে না।
নিউজবাংলা/একে