সোনারগাঁয়ে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
নিউজবাংলা – ৩০ সেপ্টেম্বর, বুধবার:
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের দুর্গম চরাঞ্চল নুনেরটেকে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংর্ঘষে টেটাবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় উভয়পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। বুধবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-বাসেদ, আক্কাস আলী, আব্দুল করিম, রেজাক, আমির আলী, রফিক, রহমত আলী, সামসুদ্দিন, আব্দুল মান্নান, ফিরোজা বেগম, খালেক, ইউসুফ ও কবির হোসেন, জুয়েল, মাজেদ বেগম, ইউসুফ, কবির হোসেন, জাহেদা, আক্কাস আলী, মুজিবুর রহমান, রাজিব, খালেক, খাঁন বাহাদুর, হামিদ আলী, রাসেল, সনিয়া, আব্দুল হক, ডালিম, শহিদুল্লাহ, নবী হোসেন, দিপক, সানাউল্লাহ। টেটাবিদ্ধ পাচঁজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের জানান, সোনারগাঁও উপজেলার আসন্ন বারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সঙ্গে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামাল মেম্বারের র্দীঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। দুজনই ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। গত মঙ্গলবার বিকালে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামাল হোসেন তার সমর্থকদের নিয়ে নুনেরটেক এলাকায় সমাবেশ করেছেন। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে কামাল সমর্থকদের সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির জিলানী ও জহিরুল হক সমর্থক জাকারিয়ার তর্ক বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে বুধবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র টেঁটা, বল্লম, রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে একপক্ষ অন্য পক্ষের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কবির হোসেন, জুয়েল, আক্কাস আলী, মাজেদা বেগম, বাসেদ নামে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সংঘর্ষ চলাকালীন উভয়পক্ষের জাকারিয়া, আব্দুল হক, ফজলুল হক, ইসমাইল, ফারুক, জয়নাল, নবী হোসেন, রূপ মিয়া, শুক্কুর আলী, মনির হোসেন, মজিবুর আসকর আলী, জিলানী মেম্বার, দেলোয়ার, রওশন আলী, কাদির মেম্বার, রফিক মিয়া, সোলায়মান, নুরু মিয়া, স্বপন, শাহ আলম, মজিদ, মতিন ও লাল মিয়ার বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয়।
এ ব্যাপারে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেনের সমর্থক আব্দুল কাদির জিলানী জানান, মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে প্রতিবাদ করায় জাকারিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়িঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।
বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হকের সমর্থক জাকারিয়া জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেনের সমর্থকরা প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সভা সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের লোকজনকে হেয়ভাবে কথাবার্তা বলছে। এর প্রতিবাদ করায় তারা সকালে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের বাড়িঘর ও দোকান পাট ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। তারা বিএনপির সমর্থক বলে জানান তিনি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. মঞ্জুর কাদের জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
নিউজবাংলা/একে