নিউজবাংলা: ৪ অক্টোবর –রবিবার:

বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী:

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নবগ্রাম মসজিদ ঘাটে বৈরান নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় নগদাশিমলা ইউনিয়নের তিন গ্রামের মানুষ নিদারুন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

গ্রাম তিনটি হচ্ছে নবগ্রাম, জামতৈল ও গোলাবাড়ি।

জানা যায়, এ ঘাটে ব্রীজের জন্য তিন গ্রামের মানুষ দীর্ঘ দিন আন্দোলন করেছে। দাবির মুখে এলজিইডি নদীর এ পয়েন্টে ব্রীজ নির্মানে কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ঘাটের ব্রীজ নির্মিত হয় অঘাটে। গ্রামবাসিদের অভিযোগ, দুইশ বছরের পুরনো ঘাট যেখানে সেখানে এলজিইডি কোটি টাকার ব্রীজ নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটা করে ব্রীজের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক বিরোধীতার দরুন জনবহুল ঘাট বাদ দিয়ে এক কিলো উজানে রাস্তাবিহীন নির্জন স্থানে ২০০০ সালে নির্মিত হয় এ ব্রীজ।

কিন্তু ব্রীজের উভয় পাড়ে সংযোগ সড়ক না থাকায় এক যুগ ধরে ব্রীজটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এলজিইডির স্থানীয় কর্মকর্তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ব্রীজটি চালু করতে একদেড় কিলো নতুন রাস্তা বানাতে হতো। এতে ১০/১৫ একর আবাদী জমি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় গ্রামবাসিরা প্রতিবাদে নামে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ব্রীজের উভয় পাড়ে নতুন রাস্তা নির্মানে বাড়তি ৪০/৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দে রাজী হয়নি।বিলডগা গ্রামের খাদেম আলী জানান, মানুষ পারাপার না হওয়ায় ব্রীজটি বখাটে ও মাদকসেবিদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। জামতৈল গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, বহু আন্দোলন-সংগ্রামে পাওয়া ব্রীজটি ঘাট ছেড়ে অঘাটে নির্মান করায় কেউ সুফল পাচ্ছেনা। এ অবস্থায় জামতৈল গ্রামের মানুষ নিজ ব্যয়ে বর্ষাকালে দ্বিতল সাঁকোয় আর শুকনো মৌসুমে একতলা সাঁকোতে নদী পার হয়ে থাকে। যার ফলে দূর্ভোগ যেমন থেকেই গেলো অন্যদিকে বৃথা যাচ্ছে সরকারের কোটি টাকার সেতু।

নিউজবাংলা/একে