বিশ্বনাথে মাঠজুড়ে আমন ধান কাটার মহা উৎসব: কৃষক-কৃষানীর মনে আনন্দ

নিউজবাংলা: ০১ ডিসেম্বর- মঙ্গলবার:

মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা জুড়ে আমন ধানের বাম্পার ফসলে আবারও বাধ-ভাঙ্গা আনন্দ-উল¬াসে মেতে উঠেছে কৃষক-কৃষাণীরা। দিগন্তজুড়ো সোনালী ফসলের মনোরম দৃশ্য এখন গোটা উপজেলা জুড়ে।

ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন এখানকার কৃষকরা। শীতের সকাল থেকে পড়ন্ত বেলা পর্যন্ত মাঠে-মাঠে ফসল কর্তনের চিরাচারিত দৃশ্য এখন গ্রামজুড়ো। একদিকে কৃষকরা ধান কেটে বাড়ির আঙ্গিনায় জড়ো করছে। অপরদিকে গরু বা বোমা মিশন দিয়ে একই সঙ্গে মাড়াই কাজ সম্পন্ন করে নিচ্ছেন কৃষকরা। মাড়াই শেষে বাতাসে ধান উড়িয়ে বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করে গোলায় তোলার কাজে এখানে কৃষাণীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। উপজেলার গ্রামে-গ্রামে ও মাঠের পর মাঠ সোনালী ফসল ঘরে তোলার মহা উৎসব। বাতাসে ছড়ানো আমনের মৌ-মৌ গন্ধ আর কৃষক-কৃষানীদের ফসল ঘরে তোলার কর্মব্যস্ততা এখানে এক অন্যরকম আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এবছর উপজেলায় প্রায় ১১,৯৮০ হেক্টর আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এরই মধ্যে উপসী জাতের ৭৮৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৪১০০ হেক্টর।

উফশী জাতের ধান হলো- বিআর ১০,১১ ব্রি-ধান ৩২,৩৩,৩৪,৪০,৪১,৪৬,৪৯,৫১,৫২। স্থানীয় জাতের ধান হলো জরিশাইল, হাসিম, ময়না শাইল,আয়না শাইল, কার্ত্তিক শাইল, গোয়ারবড়ী।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়,উপজেলার সরুয়ালা, ধীতপুর, চান্দশীরকাপন, জানাইয়া, কারিকোনা,পূর্ব শ্বাসরাম, একাভিম, দন্ডপানিপুর, তাতিকোনা, মোহাম্মদপুর, পশ্চিম শ্বাসরাম, সেনারগাঁও, সুড়িরখাল, ভোগশাইল, মন্ডলকাপন, হরিকলস, মসলিস ভোগশাইলসহ অনেক গ্রামে সবার বাড়িতে গোলায় ধান তুলার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা।

এ ব্যাপারে জানাইয়া গ্রামের কৃষক মখদ্দুছ আলী জানান, এবার আমন ধান ভান ফলন হয়েছে। কৃষকদের পূর্ণবাসনে সরকার আগামী বোরো ফসল উৎপাদনের জন্য বিনা মূল্যে সার ও বীজ দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলীনূর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর লক্ষ মাত্রায় চেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে কৃষকেরা আশানুরুপ ফলন গোলায় তুলতে পারবে।

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Comments

comments

Previous: রাণীশংকৈলে বিশ্ব এইডস দিবস পালিত
Next: বিএনপির প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*