নিউজবাংলা: ১৫ জুলাই, বুধবার :
ঢাকা: ১৫তম বর্ষে পদার্পন করল কৃষি শিক্ষার সেন্টার অফ এক্সিলেন্স রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)।
২০০১ সালে এই দিনে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়।
তবে, নীরবে নিভৃতেই কাটছে শেকৃবি’র ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগের দিন মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। এই ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কোন কর্মসূচীই পালন করা হয়নি।
পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শেকৃবির ইতিহাস মাত্র ১৪ বছরের হলেও উপমহাদেশের প্রচীনতম উচ্চতর কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর ইতিহাস দীর্ঘ ৭৭ বছরের। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মূলত উপমহাদেশের কৃষি ব্যবস্থার ভিত্তি রচিত হয়েছিল।
১৯১৯ সালে রাজকীয় কৃষি কমিশনের গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে ঢাকায় তেজগাঁও কৃষি গবেষণা সংলগ্ন ৩শ’ একর জমিতে ১৯৩৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা একে ফজলুল হক পূর্ব বাংলার প্রথম কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি স্থাপন করেন। কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম দেয়া হয় দি বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট। পরবর্তীতে পাকিস্তান আমলে এর নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নাম রাখা হয় বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট। পরে ২০০১ সালের ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউটের (বিএআই) হীরকজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএআইকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দেন এবং ওই বছরের ৯ জুলাই সংসদে আইন পাস করেন। ১৫ জুলাই তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
৮৬.৯৭ একর আয়তনের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কৃষি অনুষদ, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদ, এনিম্যাল সায়েন্স ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ নামে তিনটি অনুষদ রয়েছে। ৩টি অনুষদের অধীনে রয়েছে মোট ৩০ টি বিভাগ।এবং প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ২০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিষয়ক পরিচালক ড. সেকেন্দার আলী বলেন, ‘২০০৯ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত বড় করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়নি। তবে এই বছরে ঈদের ছুটির কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কোনো কিছু করা হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাদাত জানান, আমরা শেকৃবিকে পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। আশা করি যে বরাদ্দ রয়েছে তা দিয়ে শেকৃবিকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারব।