সাত বছরের দাম্পত্য পুড়ে ছাই !

নিউজবাংলা: ২৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার:

ঢাকা: হাসিখুশি ছেলেটা চাইতেন মডেল হতে । স্বপ্ন পাল্টে দাদার পরামর্শে ভগবতী প্রসাদ যোগ দেন BSF-এ । ভাইপোর কাছে তিনি ছিলেন ‘প্লেনওয়ালা চাচু‘ ।

সেই প্লেনেই থেকে গেলেন চাচু । চিরদিনের মতো । মঙ্গলবার BSF-এর অভিশপ্ত উড়ানের তিনি ছিলেন পাইলট । কো পাইলট ছিলেন রাজেশ শিবরাইন । ময়নাতদন্তের আগে দেহ শনাক্ত করতে এসে ছেলে দেখে রাজেশের হাতে তখনও ধরা প্লেনের জয়স্টিক । এটাই বলে দিচ্ছে‚ বিমানটিকে বাঁচানোর জন্য শেষ মুহূর্ত অবধি কতটা চেষ্টা করেছিলেন দুজনে । দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচানো না গেলেও পাইলটদের দক্ষতায় বেঁচে যায় একটি গ্রাম । এক চুলের জন্য গ্রামটির পাশে গোঁত্তা খেয়ে পড়ে বিএসএফ বিমানটি ।

ভগবতী-রাজেশ এর আগে বহু বিমান একসঙ্গে চালিয়েছেন । ২০০ ঘণ্টার বেশি ওড়ার অভিজ্ঞতা ছিল দুজনেরই । কিন্তু অনেক লড়েও শেষরক্ষা করতে পারলেন না দুই সহকর্মী । মঙ্গলবার সকালে ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে বিএসএফ-এর ছোট বিমান । গন্তব্য ছিল রাঁচি । দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১০ জনের ।

উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথের কাছে একটা ছোট্ট গ্রামের ছেলে ছিলেন ভগবতী প্রসাদ ভাট । চা-বিক্রেতার ছোট ছেলে ভগবতী চাইতেন মডেল হতে । দাদা তাঁকে অনুপ্রাণিত করেন নিরাপত্তাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য । দাদা চেয়েছিলেন তাঁর অপূর্ণ সাধ পূর্ণ করুক ছোট ভাই । সেই স্বপ্ন সাকার করেছিলেন ভগবতীপ্রসাদ । পাইলট হওয়ার পরে ২০০৮ সালে বিয়ে করেছিলেন দীর্ঘদিনের বান্ধবী স্বাতীকে ।

অন্যদিকে কো পাইলট রাজেশ শিবরাইন ছিলেন ভিওয়ানির বাসিন্দা । সীমা সুরক্ষা বল থেকে তিনি নিযুক্ত হন BSF-এ । জীবনের শেষ মুহূর্তেও তাঁর হাতে ধরা ছিল প্লেনের জয়স্টিক । প্রিয় কাজের মধ্যে‚ প্রিয় দুই সহকর্মী পাড়ি দিলেন অজানার পথে ।

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Comments

comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*