নাটক শেষে থেকেই গেল “চোকার” নাম

নিউজ বাংলা ২১: ২৪ মার্চ, মঙ্গলবার :

ঢাকা:  নাটক ছিল। তাতে শিহরণ জেগেছিল। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ অব্দি। এদিক-ওদিক দুলছিল ম্যাচ। কে যাবে ফাইনালে? যে গেল নাম তার ‘নিউজিল্যান্ড’।

অকল্যান্ড আর মিরপুর যেন মিলেমিশে একাকার। সেবার রানআউট হয়েছিলেন ভিলিয়ার্স। এবার মিস করেছেন রানআউট। ফাইনালের স্বাদ না পাওয়া দুই দলের লড়াই থেমেছে অনেক চড়াই উতরাই পার করে।

বৃষ্টিস্নাত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৩ ওভারে দলীয় স্কোরে তারা তোলে ২৮১ রান। কিন্তু বৃষ্টি আইনে কিউইদের টার্গেট দাড়ায় ২৯৮। বড় টার্গেটের দিকে হাঁটতে যেয়ে ঝড়ো শুরু করে স্বাগতিকরা। তবে ২২ ওভারের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ম্যাককুলাম বাহিনী।

প্রথম ৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাগল করে তুলছিলেন ম্যাককুলাম। ২৬ বলে খেলে করেন ৫৯ রান! ছোটো মাঠের সুবিধা নিয়ে স্টেইনদের একের পর এক মাঠের বাইরে আছড়ে ফেলতে থাকেন তিনি। অবশেষে মরকেল তাকে শান্ত হতে বাধ্য করেন।

সপ্তম ওভারের প্রথম বলে অনেকটা আনাড়ি লেন্থের একটি বল করেন মরকেল। ম্যাককুলাম কিছুটা ডাউন দ্য উইকেটে এসে মিডঅনে উড়িয়ে মারেন। প্রস্তুত ছিলেন স্টেইন। বলে মার খাওয়ার বদলা নেন ক্যাচ ধরে।

ম্যাককুলামের বিদায়ের পর গাপটিলের সঙ্গে এসে যোগ দেন কেন উইলিয়ামসন (১১)। তবে বেশিক্ষণ তাকেও থাকতে দেননি ওই মরকেল। নবম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে একটি শর্ট বল দেন তিনি। পুল করতে যান উইলিয়ামসন। কিন্তু বল ব্যাটে আসে একটু ধীরে। ভেতরের কানায় লেগে প্লেডঅন হন।

দুই উইকেটর পতনের পর ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করেন টেইলর-গাপটিল। সেই চেষ্টার মাঝে অবতারণা হয় ২০১১’র । চার বছর আগে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে রানআউট হন ভিলিয়ার্স। আর তাতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন ইমরান তাহিরের ফ্লাট লেগব্রেক ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে দেন টেইলর। বল যায় আমলার দিকে। রান নেয়ার জন্য দৌড় শুরু করেন টেইলর-গাপটিল। মাঝ পথে থেমে যান দুজনে। ততক্ষণে বল কুড়িয়ে ডি ককের কাছে থ্র করেন আমলা। গাপটিলের (৩৪) স্ট্যাম্প ভেঙে দেন কক!

গাপটিলের বিদায়ের পর টেইলরকে(৩০) ফেরান ডুমিনি। অফব্রেক ছিল লেগস্ট্যাম্পের ওপর। তাতে টোকা মারতে চেয়ে সফট ডিসমিসাল হয়ে ফিরতে হয় টেইলরকে। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন উইকেট রক্ষক ডি কক।

৩৮তম ওভারে অ্যান্ডারসন যখন ফিরে যান, তখন জমে ওঠে নাটক। ৩০ বলে কিউইদের দরকার ছিল ৪৫। ৪০তম ওভারে সেই নাটকে আরো শিহরণ জাগে। লুক রঞ্চি (৮) যখন ইলিয়টকে রেখে ফেরেন, তখন তাদের দরকার ছিল ১৭ বলে ২৯। হাতে চার উইকেট। এমন সময়, ৪১তম ওভারের তৃতীয় বলে ডি কক নিশ্চিত রানআউট মিস করে আফ্রিকার চিন্তা বাড়িয়ে তোলেন। ৪২তম ওভারের শেষ বলে ডুমিনির জন্য ক্যাচ মিস করেন বিহারডিন।

শেষ ওভারে কাঁপতে থাকা ভিলিয়ার্স যখন স্টেইনের হাতে বল তুলে দেন, তখন কিউইদের দরকার ১২ । স্ট্রাইকে ভেট্টরি। অপরপ্রান্তে ইলিয়ট।

ভীরু পায়ে আসলেন স্টেইন। প্রথমে বলে সিঙ্গেল! দ্বিতীয় বলেও এক! চার বলে ১০ দরকার! কাঁপছে আফ্রিকা। প্রার্থনায় নিউজিল্যান্ড! শিরায় টান পড়ল স্টেইনের! মাঠে আসলেন ফিজিও! কিছুসময় স্ট্রেচিং করে আবার মার্কে গেলেন তিনি! তার ওপর বহু দিনের স্বপ্ন নির্ভর করছে! তৃতীয় বলে চার হজম করলেন! তিন বলে স্বাগতিকদের দরকার ৬!  পরের বলে সিঙ্গেল! ২ বলে ৫!  এ কী করলেন ইলিয়ট। ছয়!! আফ্রিকানদের হৃদয় খান খান!!!!

নিউজ বাংলা ২১/ একে

(Visited 2 times, 1 visits today)
Top