নিউজবাং লা: ২০আগস্ট, বৃহস্পতিবার:

চট্রগ্রাম সংবাদদাতা:

নগরীর পর্যটন স্পটগুলোকে কেন্দ্র করে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। ফয়েজ লেক, স্বাধীনতা পার্ক ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় আবাসিক হোটেলগুলোকে নিরাপদ স্থান হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই অসামাজিক কার্যকলাপে। পাশাপাশি গেস্ট হাউজ ও রেস্টুরেন্টের নামে রয়েছে অহরহ মিনি হোটেল। যাতে রয়েছে ছোট ছোট রুমে অবৈধ সম্পর্কে (যৌন মিলন) লিপ্ত হওয়ার নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

 

সরেজমিনে ফয়েজ লেক ঘুরে দেখা গেছে, রিয়েল পার্ক, লেক সিটি, লেক পয়েন্ট রিসোর্ট, লেক গার্ডেন ও স্বর্ণালী নামে রয়েছে পাঁচটি আবাসিক হোটেল। রয়েছে অনেক গেস্ট হাউস ও রেস্টুরেন্ট। নামে আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউস ও রেস্টুরেন্ট হলেও কাজে মূলত এক একটা বড় আকারের পতিতালয়। হোটেল ও রেস্টুরেন্টে পর্যটক নয় প্রতিদিন ভিড় জমায় যুবক-যুবতী ও যৌন কর্মীরা। পার্কের নামে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও গেস্ট হাউজে এসে অবৈধ সম্পর্কে (যৌন মিলন) লিপ্ত হয় উঠতি বয়সের তরুন-তরুনী ও যৌন কর্মীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফয়েজ লেকের এক ব্যবসায়ী জানান, হোটেলগুলোর প্রতিদিনের গেস্ট তরুন-তরুনী ও যৌন কর্মীরা। তারা হোটেল, রেস্টুরেন্টে বা গেস্ট হাউজে ঢুকবে, ঘন্টা দুয়েক অবস্থান করবে, তারপর চলে যাবে। এখানে তেমন কোন বাইরের গেস্ট আসেনা। আসলেও বেশির ভাগ অন্যত্রে গিয়ে অবস্থান করে।

এদিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও স্বাধীনতা পার্ক এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে একই অবস্থা। স্বাধীনতা পার্কে প্রেমিক যুগল সারাদিন ঘুরে বেড়াবে। সন্ধা হলে বহদ্দারহাট কোন হোটেলে এসে রাত্রিযাপন করবে অথবা ঘন্টা দুয়েক সময় কাটাবে। লিপ্ত হবে অবৈধ (যৌন মিলন) সম্পর্কে।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে (সীবিচ) রয়েছে সুন্দর মানের টাইলস করা সায়মা নামের বিশাল একটি হোটেল। এখানে যেমন আসেন তরুন তরুনীরা তেমনি আসেন যৌন কর্মীরা। প্রেমিক যুগল ও যৌন কর্মীরা এসে এখানে লিপ্ত হয় অবৈধ সম্পর্কে। হোটেল মালিক পক্ষের বিস্ত— লোক দ্বারা পরিচালিত হয় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার এই ব্যবসা। হঠাৎ কেউ রিসিপশনে গেলে প্রথমে মনে হবে সম্পুর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে ও নিয়ম মাফিক পরিচালিত আবাসিক হেটেল। এক কথায় ভেজা বিড়াল। কিন্তু ভেতরে ঢুকলে বুঝা যায় কি হচ্ছে।অনৈতিক এব্যবসা বন্ধ করতে সিএমপি কমিশনার আব্দুল জলিল নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে ব্যাপক অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি দেহ ব্যবসা। চলছে পুরোদমে। কিছু রাজনৈতিক নেতা, পাতিনেতা ও অসাধু কিছু পুলিশ অফিসার হোটেলগুলো থেকে মাসোহারা নিচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীর এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, কিছু হোটেল অবশ্যই মেয়ে রাখে। কিন্তু আমরা কোন মেয়ে রাখিনা। প্রেমিক যুগলরা হোটেলে এসে সময় কাটায়। কোন গেস্ট মেয়ে চাইলে আমরা দালালদের মাধ্যমে কলেকশন করি। গোপন রেখে আমরা কাজটি করে থাকি। গোপনীয় এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এলাকার নেতা, পাতিনেতা ও প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা গুনতে হয় বলে দাবি করেন ওই সকল বেআইনী হোটেল ব্যবসায়ীরা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এস.এম তানভির আরাফাত জানান, আমরা হোটেলগুলোতে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছি। হোটেলে তরুন-তরুনীরা অনেকটা গোপনে আসা যাওয়া করে। এটা নিয়ন্ত্রন করা থানাগুলোর দায়িত্বে পড়লেও আমরা (ডিবি) প্রায় অভিযান করে থাকি।

নিউজবাংলা/একে