নিউজবাংলা – ২৩ সেপ্টেম্বর, বুধুবার:
সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে কোরবানির পশু হাট। ঈদ যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে গরু, ছাগলের বেচা-কেনা। ক্রেতাদের পাশাপাশি হাটগুলোতে ভিড় করছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যাপারীরা।

 

ঠাকুরগাঁর হাটগুলোতে ভারতীয় গরু না আসায় ভাল দাম পেয়ে খুশি স্থানীয় বিক্রেতারা। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ছোট ও মাঝারি আকারের স্বাস্থ্যবান গরু। দাম একটু বেশি হলেও পছন্দ মত গরু কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারাও।

ঠাকুরগাঁও জেলার প্রধান পশু হাটগুলো হচ্ছে, লাহেড়ী, খোচাবাড়ি, নেকমরদ, মাদারগঞ্জ, শীবগঞ্জ, রামনাথ,কাতিহার, গড়েয়া পশুরহাট । নিয়মিত এ হাটগুলোর পাশাপাশি কোরবানি উপলক্ষে বসেছে আরো অস্থায়ী অসংখ্য গরু, ছাগলের হাট। স্থায়ী-অস্থায়ী এ সকল হাটে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খামারী, ব্যাপারী ও গৃহস্থরা গরু-ছাগল কেনা বেচার জন্য আসছেন।
এসব হাট গুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট-বড়, মাঝারী বিভিন্ন আকারের অসংখ্য গরু উঠেছে। সেই সঙ্গে হাটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাগল নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা।অধিকাংশ ক্রেতারা বাড়ি ফিরছেন কোরবানির গরু কিনে। কেউ-কেউ আবার অপেক্ষা করছেন শেষ মূহুতের জন্য।

ঠাকুরগাঁও জেলার শিমুলতোলা নিবাসি রুবেল রানা বলেন, হাটে পছন্দসই গরু অভাব নেই। তিনি জানান সাধ্যর মধ্যে দুটি গরু একটি হল ৪৭ হাজার ৫শ আরেকটি হল ৫৪ হাজার টাকায় । গত বছর এ ধরনের গরু ৪৪-৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এবার ভারতীয় গরু চাপ কম থাকায় দেশি গরু দাম একটু বেশি।

হাট ইজারাদার মোতালেব জানান, এ বছর দেশে ভারতীয় গরু আমদানি কম। যে কারণে দেশি গরু চাহিদা বেশি। শেষ পর্যন্ত এভাবে থাকলে দেশি গরু খামারীরা লাভবান হবেন। শহাজান জানান, গত ১০ তারিখের পর থেকে প্রতিটি হাটেই ভাল বেচা বিক্রি হচ্ছে। তবে তিনিও জানান ক্রেতাদের কাছে বড় গুরু চাহিদা একদম কম।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাদ আহম্মেদ বলেন, প্রতিটি গরু ও ছাগলের হাটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। যে কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদে কেনা-বেচা করতে পারছেন। জাল টাকা লেনদেন, চাঁদাবাজিসহ কেউ কোন বিশৃঙ্খলা ঘটালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজবাংলা/একে