নিউজবাংলা: ৮ অক্টোবর, বৃহ.বার:

এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
অবশেষে বহু অপকর্মের হোতা বাঘাসুরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস শহীদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

গতকাল দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মারামারি ও চাঁদাবাজি মামলায় হাজির হলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়া মেম্বার আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে এলাকায় জমির দালালী, অন্যের জমি জবর দখল, অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের বাঘাসুরা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাসিম মিয়ার পুত্র আওয়ামীলীগ নেতা খসরু মিয়া সম্প্রতি ওই গ্রামের বাজারে একটি দোকানের টেলিভিশনে যুদ্ধাপরাধীর রায় সংক্রান্ত সংবাদ শুনছিলেন। সংবাদে এক যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় হওয়ায় খসরু মিয়াসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ আনন্দ উল্লাস করে মিছিল বের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শহীদ মিয়া, ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সবুর মিয়াসহ তাদের লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।
স্থানীয় লোকজন বিষয়টি তাৎক্ষণিক মিমাংসা করে দেন। পরদিন সকালে খসরু মিয়া তার বাড়ি থেকে বাঘাসুরা বাজারে যাওয়ার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা শহীদ মিয়াসহ তার লোকজন খসরু মিয়ার গতিরোধ করে চাঁদা দাবি করে। এ সময় খসরু মিয়া চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় শহীদ মিয়া ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে খসরু মিয়াকে মারধোর করে। পরে মারধোরের বিষয়টি খসরুর আত্মীয় স্বজন জানতে পারলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অর্ধশত লোক আহত হয়। এ ঘটনায় খসরু মিয়া বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় বিএনপি নেতা মেম্বার আব্দুস শহীদ, সবুর মিয়া, নোয়ালি মিয়া, ছোটন মিয়া, হারুন মিয়া ও আলী মিয়াসহ ৩০ থেকে ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। গতকাল ওই মামলার ৯ আসামী হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ এর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ বিচারক উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেম্বার আব্দুস শহীদ, সবুর মিয়া, ছোটন মিয়া, নোয়ালি মিয়া, হারুন মিয়া, আলী মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিউজবাংলা/একে