পরবর্তী প্রজন্মের দশ সম্ভাবনাময় ফুটবলার
নিউজবাংলা: ৮ অক্টোবর, বৃহ.বার:
ঢাকা: ম্যারাডোনা-পেলে। মেসি-রোনালদো। এভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেখবে তারকা ফুটবলার। আধুনিক ফুটবলের ডামাডোলে কেউ কেউ বাদ্যি বাজিয়ে যাবে আপন ঢঙে। কেউ কেউ হবে কিংবদন্তি। অমর।
চলুন চিনে নেয়া যাক পরবর্তী প্রজন্মের এমনই দশজন সম্ভাবনাময় ফুটবলারকে।
১. ফ্রাঙ্কো লোপেজ: বয়স সবে ১৭। মেসির স্বদেশি। খেলছেন রিভার প্লেট ক্লাবে। দুর্দান্ত ড্রিবলিং আর সারা মাঠে বিচরণ করতে পারার দক্ষতার জন্য এখনি তাকে রোনালদিনহোর সঙ্গে তুলনা করা হয়। প্রায়ই নাকি কোচের কাছে বায়না ধরেন, সারা মাঠজুড়ে খেলার!
২. টমাস কনেকনি: ১৭ বছরের এই বালকের বাড়িও আর্জেন্টিনায়। খেলছেন সান লরেঞ্জোর হয়ে। আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৭ দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। টমাসের স্বপ্ন নয় নম্বর জার্সি পরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা।
৩. ইভান্দার ফেরিইরা: ভাস্কো দা গামা ক্লাবের যুব দলের নিয়মিত মুখ ইভান্দার। ব্রাজিলে বাড়ি হওয়ায় তার খেলায় অনেকেই নেইমারের ছায়া দেখতে পান। ইভান্দার এখনো দামি পেশাদার লিগে না খেললেও স্প্যানিশ মিডিয়ার কল্যাণে ইতিমধ্যে বিখ্যাত হয়ে গেছেন। বার্সা নাকি সব সময় তার খোঁজ খবর রাখছে। যে কোনো সময় এই ফরওয়ার্ডকে ডাকা হতে পারে কাতালান ক্লাবটিতে। ইভান্দার গত বছর ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬টি গোল করে আলো কাড়েন।
৪. ইসমাইল আজাউলি: বেলজিয়ামের এই উঠতি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইতিমধ্যে টটেনহ্যামের হয়ে খেলে ফেলেছেন। এখন আছেন উলফসব্রুগ ক্লাবে। দেশটির অনূর্ধ্ব-১৭ দলের শেষ ১৭টি ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ১৩! বেলজিয়ামের পরবর্তী প্রজন্মের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলা হচ্ছে তাকে।
৫. পেদ্রো পেরেইরা: বেনিফিকার যুব দল থেকে কিছুদিন আগে সাম্পোদিরা ক্লাবে যোগ দিয়েছেন পর্তুগালের এই ডিফেন্ডার। ফুটবল বিশ্লেষকরা এখনই তার মাঝে সম্ভাবনাময় একজন আধুনিক ডিফেন্ডারের ছায়া দেখছেন।
৬. ম্যানুয়েল নিকোলেত্তি: ইতালির ঐতিহ্যবাহী ডিফেন্স সৌন্দর্য নাকি তার পায়ে আছে। ছোটবেলা থেকে তুলনামূলক বড় দলের সঙ্গে খেলে আসছেন তিনি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ক্লাব ক্রোটোনির সিনিয়র টিমের হয়ে মাঠে নেমে ইতিহাস গড়েন এই ইতালিয়ান।
৭. ফ্যাবিনা বেঙ্কো: মেধাবী এই মিডফিল্ডার বায়ার্ন মিউনিখ যুব দলের নিয়মিত মুখ। এই বয়সে নজরে পড়েছেন পেপ গার্দিওলার। সময় পেলেই এই জার্মানকে কাছে ডেকে নেন বায়ার্ন কোচ। ফ্যাবিনা সম্পর্কে গার্দিওলার মন্তব্য, ‘ওর বয়স মাত্র ১৭। এখনো অনেক কিছু শিখতে হবে। তবে আমরা তার খেলায় দারুণ খুশি।’
৮: রিদসু ডোয়ান: জাপানের এই ফরওয়ার্ডকে দেশটির নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি বলা হচ্ছে। বা পায়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। চোখ জুড়িয়ে ড্রিবলিং করতে পারেন। চোখের পলকে যায়গা বদল করার ক্ষমতায়ও অনন্য। বল নিয়ে দ্রুত গতিতে দৌড়ানোতেও তার জুড়ি মেলা ভার। জাপানের গাম্বা ওসাকা ক্লাবে নিয়মিত আলো ছড়াচ্ছেন।
৯. জোলে লুইস কুকি সালাজার: উরুগুয়েতে জন্মগ্রহণকারী এই ফরওয়ার্ড ছেলেবেলায় পরিবারের সঙ্গে স্পেনে চলে আসেন। খেলছেন মালাগার হয়ে। ইতিমধ্যে খেলেছেন আরো কয়েকটি ক্লাবে। সব মিলিয়ে গোল আছে ৭০টির বেশি।
১০. ফেডরিকো ভালভিরিডি: উরুগুয়েতে জন্ম নেয়া এই কিশোর নিজেকে গড়ে তুলছেন মিডফিল্ডার হিসেবে। স্বদেশি ক্লাব পেনারোল থেকে এক প্রকার সাড়া ফেলে রিয়ালে পাড়ি জমান তিনি। রিয়াল তাকে কোলেপিঠে করে মানুষ করছে। ভবিষ্যতের নান্দনিক এক মিডফিল্ডার গড়ার আশায়।
নিউজবাংলা/একে