নিউজবাংলা: ৮ অক্টোবর, বৃহ.বার:

ঢাকা: ঢাকাই সিনেমার খলনায়ক দীর্ঘদিন বিরতী শেষে আবারো ফিরছেন চলচ্চিত্র অভিনয় ও প্রযোজনায়। এবার তিনি এক সঙ্গে ৭টি চলচ্চিত্র নিয়ে ফিরছেন।

গুণী নির্মাতা কাজী হায়তকে সঙ্গে নিয়ে ডিপজল নির্মাণ করবেন ছবিগুলো। আগামী পহেলা ডিসেম্বর থেকে এগুলোর শুটিং শুরু হবার কথা জানানো হয়েছে।

এ ছবিগুলোর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন ডিপজল ও মারুফ। এছাড়া এতে নায়িকাসহ একদল নতুন শিল্পী থাকবেন।

ডিপজল জানান, চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থা দূর এবং চাঙা করতেই তিনি একসঙ্গে সাত সিনেমার নির্মাণকাজ শুরু করছেন। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রের বাজার ফিরিয়ে আনতে মূলধারার প্রযোজক ও পরিচালকদের বেশি সিনেমা নির্মাণ করা প্রয়োজন। আমি আমার অবস্থান থেকে এ কাজটি শুরু করেছি। দর্শক যে ধরনের সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন, আমি ঠিক তাদের মনের মতো গল্প নিয়ে সিনেমাগুলো নির্মাণ করতে যাচ্ছি। এজন্য মাসের পর মাস গল্প নিয়ে গবেষণা করেছি। চলচ্চিত্রের এখন মূল সমস্যা ভাল গল্পের অভাব। বেশির ভাগ সিনেমার গল্পই হিন্দি বা তেলেগু সিনেমার নকল করে করা হচ্ছে। এমনও দেখা যায়, একই গল্পের নকল করে নির্মিত সিনেমা একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে। ফলে দর্শক সিনেমাবিমুখ হয়ে যাচ্ছে। দর্শকদের ফিরিয়ে আনতে ভাল গল্পের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার সমৃদ্ধ সিনেমা নির্মাণ করতে হবে।

এ বিষয়ে ডিপজল আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমি নিজ উদ্যোগে একটি ফিল্ম সিটি গড়ে তুলেছি। সাভারের ফুলবাড়ীয়ায় আমার ফাহিম স্টুডিওতে নতুন আরেকটি ফ্লোর নির্মাণের পাশাপাশি আধুনিক ক্যামেরা, ডাবিং থিয়েটার, এডিটিং প্যানেলসহ সব ধরনের সুবিধা স্থাপন করেছি। এখান থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ সিনেমা নির্মাণ করে নির্মাতা বের হয়ে যেতে পারবেন। সিনেমায় যেমন প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য, তেমনি সিনেমা হলের পরিবেশও প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমাদের যে তিন শ’-সাড়ে তিন শ’ সিনেমা হল রয়েছে, এগুলোর বেশির ভাগেরই পরিবেশ উন্নত নয়। এ পরিবেশে দর্শকের সিনেমা দেখার কারণ নেই। এতে একটি ভাল সিনেমাও মার খেয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সিনেমা শিল্পকে চাঙা করতে ভাল মানের সিনেমা নির্মাণ যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রযুক্তিসম্পন্ন সিনেমা হলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এজন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি। একইসঙ্গে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদেরও উদ্যোগী হতে হবে।

ভারতীয় নায়ক-নায়িকা নিয়ে সিনেমা নির্মাণ প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, ভারতীয় নায়ক-নায়িকা দিয়ে সিনেমা নির্মাণের প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশেই প্রতিভাবান অনেক তরুণ-তরুণী রয়েছে। তাদের মধ্য থেকে খুঁজে নায়ক-নায়িকা সৃষ্টি করতে হবে। ধার করা নায়ক-নায়িকা দিয়ে শিল্পী সংকট ঘুচানো যাবে না। এজন্য নিজেদের উদ্যোগ নিতে হবে। ভাল সিনেমার দর্শক এখনও আছে। সিনেমা যদি সিনেমার মতো করে নির্মাণ করা হয়, তবে দর্শক দেখবেই।

 

নিউজবাংলা/একে