নিউজবাংলা: ৮ অক্টোবর, বৃহ.বার:

সামিউল ইসলাম, ভালুকা,(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বিকেন্দ্রিকরণ করে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেক আগেই আগারগাঁওয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

কিন্ত দীঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মাউশি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও ফাইল দস্তাবেজ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে স্থানান্তরিত করছে না। এতে প্রতিনিয়ত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়রাণির শিকার হতে হচ্ছে। কারন, প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও ফাইল দস্তাবেজ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে না থাকায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছে না, এমপিও করতে পারছে না।এরকম হয়রাণির শিকার হতে হয়েছে নিউজবাংলা২১ ডটকমের ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিকে।তিনি স্থানীয় হালিমুন্নেছা চৌধুরানী মেমোরিায়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাজে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে এসেছিলেন। ওই বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য ডিজি প্রতিনিধি চেয়ে গত ১৭অগাস্ট১৫ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করেন।কিন্ত এতদিন পেরিয়ে গেলেও ডিজি প্রতিনিধি না পেয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে এসে জানতে পারেন তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাউশি থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পৌছায় নি। তাই তারা ডিজি প্রতিনিধি দেন নি। এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক(ভোকেশনাল) বলেন, আমরা বারবার মাউশিতে আমাদের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও ফাইল দস্তাবেজ চেয়ে চিঠি প্রেরণ করছি, কিন্ত তাদের রেসপন্স পাচ্ছি না।কিছুদিন পর পর ৫/৭ টি (প্রতিষ্ঠানের) করে ফাইল আমাদের কাছে আসছে। আমরা কেবল সেগুলোর কাজ করতে পাচ্ছি। জানা যায়, যারা মাউশিতে তদবির করতে পেরেছে কেবল তাদের ফাইল কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে এসেছে। মাউশিতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট(ময়মনসিংহ অঞ্চল) অফিসারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ৭ বছর যাবৎ স্থানান্তরিত হচ্ছে, আরো ১০ বছর সময় লাগবে। কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা বলা যাবে না। তিনি প্রতিবেদককে ফাইল স্থানান্তরিত করার জন্য আবেদন করতে বলেন।সংশ্লিষ্ট(ময়মনসিংহ অঞ্চল) অফিসারের কাছে আবেদন নিয়ে আসলে বলেন কমপক্ষে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে। এত দেরি হবে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন অনেক প্রসিডউর মেইনটেইন করতে হবে। ওই অফিসারের কাছে জানতে চাওয়া হল কিছুদিন পর পর ৫/৭ টি (প্রতিষ্ঠানের) করে ফাইল কিভাবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে যায়। তখন তিনি বলেন সে জন্য তদবির করতে হয়।কিভাবে তদবির করতে হবে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের কাছে দশ হাজার টাকা দাবি করেন। তাহলে দ্রুত কাজ হবে।এ বিষয়ে জানতে মাউশির ডিজির কক্ষে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (ভোকেশনাল) বলেন, আমরা বারবার মাউশিতে চিঠি প্রেরণ করা সত্তেও তাদের কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না।তারা কোন স্বাথে আমাদের ফাইল আটকে রাখছে?তাদের জন্য হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণের হয়ারাণির শিকার হতে হচ্ছে।

নিউজবাংলা/একে