নিউজবাংলা: ১০ অক্টোবর, শনিবার:
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
উত্তর অঞ্চলের মঙ্গাপিরিত এলাকা ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় আশ্বিন-কার্তিকের কর্মহীন মানুষ আর প্রান্তিক কৃষকের অভাব অনটনে দাদন ব্যবসায়ী ও মহাজনদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকের অর্জিত আমন মৌসুমী হাইব্রিড ও উফসি জাতের ধান টাকা-মাড়াই শুরু হয়েছে।
এতে ফলনও ভাল এবং সকলের মুখে হাসি।
কৃষক আব্দুর রহমান বলেন আমি এবার ৬ হেক্টর জমিতে এসিআই-১ হাইব্রিড আমন জাতের ধান রোপন করি। কম খরচে ও কম সময়ের মধ্যে মাঠের ধান কেটে আবার আলু রোপন করবো, এবং এরপর গম চাষ করতে পারব। কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে একই জমির ৩ ফসল করা খুব সহজ। তিনি আরো বলেন ১৪% আদ্রতায় ৩৩ শতাংশের বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ২০ মন।
মজুর সেলিম বলেন আশ্বিন-কার্তিক মাসে আমাদের কোন কাজ থাকে না। ফলে মহাজনদের নিকট থেকে চরা সুদে টাকা নিয়ে সংসার চালাতে হতো। এখন এই সময়ে আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই করছি এতে কৃষকের পাশাপাশি আমরও উপকৃতি হচ্ছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন হরিপুর উপজেলা সদর ব্লকে তার পরামর্শে এবছর ৬৫ হেক্টর জমিতে কৃষক আমাগ জাতের হাইব্রিড ধানের চাষ করেছে যাদের সকলেই প্রান্তিক কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নইমুল হুমা সরকার বলেন গত বছরের তুলনায় এবছর ২০ শতাংশ বৃদ্ধিতে এ উপজেলায় ১৬ হাজার ১শত হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৩ হাজার হেক্টর। আগাম জাতীয় আমন বিনা-৭, ব্রি ধান-৩৩, ব্রি ধান-৩৯, ব্রি ধান-৫৬ জাতীয় ধান আবাদ হয়েছে ৪ হাজার হেক্টর এর মধ্যে ১০টি উফসি জাতীয় আগাম ধানের প্রদর্শনী রয়েছে। তিনি আরো বলেন এসব জাতীয় আগাম ধানের বয়স কাল ১০৫ থেকে ১১৫ দিন এর মধ্যে কাটা-মাড়াই করতে পারে কৃষক। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া পিঁয়াজপুকুর নামক মাঠে কৃষক আব্দুর রহমান এর জমিতে এসিআই-১ আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াইয়ের উদ্বোধন করেন এবং এ সময় তিনি মেশিন দিয়ে ১৪% আদ্রতায় ৩৩ শতাংশের বিঘায় ফলনের হার নির্ণয় করেন, যার বিঘা প্রতি ফলন ২০ মন বলে জানান যায়।
নিউজবাংলা/একে