মঙ্গলে মানুষ অবতরণের স্থান চিহ্নিত হচ্ছে
নিউজবাংলা: সোমবার, ২৯ জুন:
ঢাকা: মঙ্গলে মানুষের অবতরণের জন্য উপযোগী স্থান চিহ্নিতকরণে প্রায় সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। তবে ২০৩০ এর দশকের শেষদিকের আগে লালগ্রহে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ভ্রমণ সম্ভব হবে না বলেই জানিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি নাসা ঘোষণা করেছে, আগামী ২৭-৩০ অক্টোবর হাউস্টনে এ বিষয়ে তারা একটি সম্মেলন করতে যাচ্ছে। ওই সম্মেলনে মঙ্গলের কোন কোন এলাকা গবেষণার জন্য উচ্চ বৈজ্ঞানিক মূল্য ধারণ করে এবং নিরাপদে মানুষের অবতরণ, বসবাস ও কাজের উপযোগী প্রাকৃতিক পরিবেশগত উপাদান সরবরাহ করে ও বৈশিষ্ট ধারণ করে সে বিষয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের প্রস্তাব সংগ্রহ করা হবে।
মঙ্গলে মানুষের মিশনের প্রয়োজনে গ্রহটির ভূ-পৃষ্ঠে মানুষের অবতরণের উপযোগী স্থান বা অঞ্চল উদঘাটনে নাসার প্রথম কর্মশালায় মূলত ৬০ কিলোমিটারব্যাপী প্রশস্ত একটি ‘এক্সপ্লোরেশন জোন’-এর উপর ফোকাস করে আলোচনা করা হবে। ওই অঞ্চলের ভূ-গর্ভে মানুষের বসবাসের জন্য সহায়ক পানি বরফ আকারে থাকার সম্ভাবনাও আছে।
ওই সম্মেলন লালগ্রহের ঠিক কোন জায়গায়গাটাতে একদিন মানুষ অবতরণ করতে সক্ষম হবে সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনার সূচনা করে মঙ্গলে মানুষের অভিযাত্রার বিষয়ে গুরুতর অগ্রগতি সাধন করবে।
প্রসঙ্গত, নাসা ইতোমধ্যেই মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর জন্য জ্ঞানভান্ডার ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রক্রিয়ায় মানুষ ইতোমধ্যেই মঙ্গলের কক্ষপথে গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণের জন্য মহাকাশযান পাঠিয়েছে। এছাড়া খোদ মঙ্গলের ভূ-পৃষ্ঠেও চিত্রধারণ ও তা পৃথীবিতে প্রেরণে রোভার রোবট-যান পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেও মঙ্গলসহ মহাকাশের ইকো-সিস্টেম (পরিবেশগত প্রক্রিয়া) ও দীর্ঘকাল ধরে মহাকাশ ভ্রমণের পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এছাড়া মহাকাশযান উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়ার উন্নয়ন ও পরবর্তী প্রজন্মের মনুষ্যবাহী মহাকাশযানের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালানো হচ্ছে।
নিউজবাংলা/একে