নিউজবাংলা: সোমবার, ২৯ জুন:
ঢাকা: রমজান মাসের আগে দুটি ঘটনা ঘটে। এক. আকাশে একটা চাঁদ ওঠে, দুই. বাজারে বেগুনের দাম বাড়ে। রস+আলো গিয়েছিল এক মাসের সেলিব্রিটি বেগুনের কাছে। আমজনতার জন্য দেওয়া মহামূল্যবান বেগুনের সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো এবার।
রস+আলো: আকাশের চাঁদ আর বেগুনের মধ্যে মিল আর অমিল কী?
বেগুন: মিল বলতে দুটিই সাধারণ জনগণের নাগালের বাইরে। অমিল হলো আকাশের চাঁদ দিয়ে বেগুনি বানানো যায় না, বেগুন দিয়ে যায়।
র.আ.: আপনার অনেক দাম। নিজেকে কি চাঁদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন?
বেগুন: গুরুত্বটা মানুষের কাছে।
র.আ.: মানে?
বেগুন: চাঁদ নিয়ে কবিতা লেখা যায়, বেগুন খাওয়া যায়! মানুষই বুঝবে, কবিতা লিখবে না বেঁচে থাকবে!
র.আ.: কাদের সঙ্গে নিজের মিল পান?
বেগুন: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে। আমরা উভয়ই ‘সেই ফর্মে’ আছি।
র.আ.: বাজার-পরিস্থিতি নিয়ে তো সাধারণ জনগণ হতাশ, আপনার কোনো অভিযোগ আছে?
বেগুন: অবশ্যই আছে। অনেক অভিযোগ আছে।
র.আ.: কেমন অভিযোগ?
বেগুন: অনেক ব্যবসায়ী পেঁপে দিয়ে, আলু দিয়ে, মিষ্টিকুমড়া দিয়ে বেগুনি বানাচ্ছে। আপনারা খাচ্ছেন আর বকাবকি করছেন। এটা আমাদের জন্য হতাশাজনক। খাচ্ছেন মিষ্টিকুমড়া, আলু; গালি দিচ্ছেন বেগুনকে!
র.আ.: সেটা ঠিক কথা। আচ্ছা, কোন ঘটনা আপনাকে সবচেয়ে বেশি পীড়া দেয়?
বেগুন: দোকানদার মাঝে মাঝে আমাদের এমনভাবে কাটে যে বুঝতে পারি না তারা বেগুনির জন্য কাটছে, নাকি সালাদের জন্য কাটছে! এক বেগুন থেকে তারা ৫০টা বেগুনি বানায়!
র.আ.: মানুষ বলে, বেগুন আসলে বে-গুণ! বেগুন খেলে অ্যালার্জি হয়, এই হয় সেই হয়। এই বিষয়গুলো কীভাবে দেখেন?
বেগুন: দেখেন, মানুষ যেটা বেশি খায়, সেটারই বেশি সমালোচনা করে। আমি সমালোচনা গায়ে মাখি না; আমি শুধু গায়ে মাখি বেসন!
র.আ.: আপনাকে ধন্যবাদ।
বেগুন: আপনাকেও।
প্রথম আলো থেকে সংগ্রহ