নিউজবাংলা: ১৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার :

ঢাকা: পর পর দুই ম্যাচে ম্যাচসেরা। এরপর সিরিজ-সেরার পুরস্কার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পুরো লাইমলাইটে সৌম্য সরকার। সিরিজে ২০৫ রান করে সবার ওপরে বাঁহাতি এই ওপেনার।

বুধবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন সৌম্য সরকার। ম্যাচ নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন তিনি।

প্রশ্ন : আজকের ইনিংসটি খেলে কেমন লাগছে? সেঞ্চুরিটি কি মিস হয়ে গেল না?

সৌম্য সরকার : সিরিজ-সেরার আনন্দটা অনেক বড়। বেশ ভালো লাগছে। সেঞ্চুরি মিস করেছি এ জন্য বেশি কষ্ট লাগছে না। ১০ উইকেটে জিততে পারিনি বলে খারাপ লাগছে। ১০ উইকেটে জিততে পারলে আমাদের দেশের জন্য অথবা দলের জন্য অনেক ভালো হতো। অনেক বড় একটা রেকর্ড হয়ে থাকত সব সময়। এটার জন্য বেশি কষ্ট লাগছে। ১০০ আজ হয়নি, ঈশ্বর সঙ্গে থাকলে সামনের ম্যাচে কিংবা তার পরের ম্যাচে করতে পারব।’

প্রশ্ন : আজকের ম্যাচে মাঠে নামার আগে আপনার ব্যক্তিগত পরিকল্পনা কী ছিল?

সৌম্য সরকার : আমি সব সময় যেটা খেলি, যে রকম খেলি, সেটাই এবার খেলার চেষ্টা করেছি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই পরিকল্পনা ছিল।

প্রশ্ন : সব সময় পরিকল্পনা কী থাকে?

সৌম্য সরকার : আজ যেটা করছি কাল যেন এটাও ক্রস করে যেতে পারি- এটা সব সময় চিন্তা করি। এটাই করার চেষ্টা করছি। যতটুকু আমি নিজে থেকে পারছি ততটুকুই করছি।

প্রশ্ন : আজকে মাঠে নামার আগে তামিমের সঙ্গে আপনার কী কথা হয়েছিল?

সৌম্য সরকার : সব সময় যে রকম কথা হয় সে রকম কথাই বলছিলাম। দুজন যখন মাঠে ঢুকি তখন দুজনের পরিকল্পনা ভিন্ন হয়। উনি উনার মতো পরিকল্পনা করে আমি আমার মতো। আমাদের ব্যাটিং আলাদা।

প্রশ্ন : একই উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা খুব বাজে ব্যাটিং করল। আমরা খুব সহজেই ম্যাচ জিতে গেলাম। আমরা কি বেশি ভালো করেছি?

সৌম্য সরকার : ভালো ব্যাটিং তো অবশ্যই করেছি। না হলে তো ৯ উইকেটে জিতি নাই। আমরা অবশ্যই তাদের থেকে ভালো খেলেছি। আসলে আমাদের উইকেট যাচ্ছিল না বলে বাহির থেকে উইকেট কী রকম সেটা বোঝা যায়নি। যখন আমি আউট হয়ছি, তখন লিটন মাঠে গেছে। তখনো বল টার্ন করছিল। তখন দেখে মনে হচ্ছিল উইকেট অনেক কঠিন। কিন্তু আমরা উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলাম বলে বাইরে থেকে কিছু মনে হয়নি।

প্রশ্ন : আজ দুজন আক্রমণাত্মক ছিলেন। যা উপকার হয়েছে…

সৌম্য সরকার : আসলেও পার্টনার যদি একটু মারে তাহলে অন্যজনের একটু সুবিধা হয়। কেউ যদি দুইটা বল ডট করে তাহলে সে চিন্তা করে যে তার পার্টনার সেই ডট বলগুলো কভার করবে অন্য প্রান্ত থেকে। এই জিনিসটা চিন্তা করলে মানসিকভাবে অনেকটা ভালো থাকা যায়। ‘ফ্রি’ থাকা যায় উইকেটে।

প্রশ্ন : এই মুহূর্তে ক্রিকেট বিশ্বকে বাংলাদেশ কী মেসেজ দিচ্ছে?

সৌম্য সরকার : আগে আমি শুনেছি বাংলাদেশের সঙ্গে কেউ খেলতে চায় না। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে কোথায় যেতে চায়, তা বলতে পারি না। কিন্তু আমি চাই সবাই যেন আমাদের সঙ্গে খেলতে চায়। যেকোনো ফরম্যাটেই হোক। আমাদের তারা যেন ‘দাওয়াত’ দেয়। এ রকম কিছু চাই সব সময়ের জন্য।

প্রশ্ন : লর্ডসে খেলার স্বপ্ন দেখেন?

সৌম্য সরকার : লর্ডসে খেলা তো সবারই স্বপ্ন। আমরা যেভাবে এগোচ্ছি, আশা করছি তারাও (ইংল্যান্ড) আমাদের একদিন লর্ডসে খেলার জন্য ডাকবে।

প্রশ্ন : তারকা হওয়ার পর কোনো পরিবর্তন অনুভব করছেন?
সৌম্য সরকার : পরিবর্তন তো অনেক আসছে। আগে সবার সঙ্গে, বন্ধু-বান্ধব সবার সঙ্গে সহজেই ঘুরতে পারতাম। যেকোনো জায়গায় বসতে পারতাম। কিন্তু এখন ওটা সহজেই করতে পারছি না। এখন বাইরে গেলে যেটা হয়, সেটাও অনেক এনজয় করি।

প্রশ্ন : মাথার ওপর দিয়ে একটা শট খেলেন। যেটার আইসিসি একটা নামও দিয়েছে…

সৌম্য সরকার : পেরিস্কোপ শট। বিষয়টি শুনতে ভালো লাগে যে আমার মাধ্যমে একটা নাম ক্রিকেটে আসছে। এখনো সবাই জানে না। ভবিষ্যতে অনেকে জানতে পারবে, তখন অনেক ভালো লাগবে।

 

নিউজবাংলা/একে