নিউজবাং লা: ১৮আগস্ট, মঙ্গলবার:

 গাজীপুর সংবাদদাতা:

গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রেমিকের সহযোগিতায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার পর অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তারে নেমেছে পুলিশ।

জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করা হয়। পরে ভোর রাতে ছাত্রীটির চিৎকার শুনে কয়েকজন তরুণ তাকে উদ্ধার করেন।

সোমবার রাত ১১টায় কালীগঞ্জ থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

এদিকে, সোমবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে ওই ধর্ষিত ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুরে কালীগঞ্জ থানা-পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুনর রশীদ বলেছেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে ষাঁড়াশি অভিযান চলছে।

ধর্ষিতা ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে জামালপুর ইউনিয়নের বাগমারা গ্রাম থেকে ওই শিক্ষার্থীকে ঘুরতে নিয়ে যাবে বলে প্রেমিক মতি মিয়ার বন্ধু মাসুদ একটি মোটরসাইকেলে করে ছাত্রীটিকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় মেয়েটিকে বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রামের কালভার্টের পাশে নির্জন স্থানে একটি ডেকে নিয়ে যায় মাসুদ।

পরে ছাত্রীটির প্রেমিক একই গ্রামের জনৈক আফসার উদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমান মতিসহ (২৫) চারজনের একটি বখাটে দল রাতভর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে ভোর ৪টায় মেয়েটির চিৎকার শুনে একদল যুবক ছুটে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।

এরপর ছাত্রীটির বক্তব্য শুনে তারা প্রথমে প্রেমিক মতির বাড়িতে নিয়ে যান। মতি বাড়িতে না থাকায় তার বাবা-মা তাদের ফিরিয়ে দেন।

এরপর তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য আলীর কাছে ছাত্রীটিকে তুলে দেয়। তিনি মেয়েটিকে জামালপুর ইউপি পরিষদে নিয়ে যান। সেখান থেকে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলমের সহযোগিতায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম বিকাল ৩টায় ছাত্রীকে থানায় নিয়ে আসেন।

মতির অন্য সহযোগীরা হলো, একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে মাসুদ (২২), শামস উদ্দিনের ছেলে নজরুল (৩০) ও মিনু মিয়ার ছেলে আরিফ (২৫)।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজবাংলা/একে