নিউজবাংলা: ২১আগষ্ট-শুক্রবার

মোঃরুহুল আমীন, আত্রাই (নওগাঁ)প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাইয়ের বিভিন্ন বাজারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। কোন ভাবেই কমছে না এসব দ্রব্যের মুল্যে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে প্রতিটি পন্যের দাম।

বিশেষ করে সবজির বাজারে দেখা দিয়েছে ভয়ানক আগুন। সম্প্রতি প্রবল বর্ষনে আত্রাইসহ দেশের উত্তর অঞ্চলের সবজি ক্ষেতের ব্যপক ক্ষতি হয়। এতে দ্রত বেড়ে যায় সবজির দাম। বাজার উর্দ্ধগতির জন্য সবজি বিক্রেতারা বৃষ্টিকে দুষলেও বাজার মনিটরিং না হওয়াকে দুষছেন ক্রেতারা। তাদের দাবী বৃষ্টি এখন আর নেই। তার পরেও বাজারের কৃত্তিম ভাবে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে ব্যবসায়ীরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারের দব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি। কোন ভাবেই কমছে না প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। বাজার করতে গিয়ে চরম বেকায়দায় পড়ছেন দিনে আনে দিন খাই লোকজন। গতকাল এলাকার সবচেয়ে রড় হাট আহসাগঞ্জ হাট ঘুরে দেখা গেছে, পিয়াজ বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, রসুন ৮০ টাকা, কাচা মরিচ ১২০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা,  করলা ৪০ টাকা, শসা ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা। একই সাথে বেড়েছে শাকের দাম। গত কয়েক দিনেই বেড়েগেছে ডালের বাজার। মুসুড়ি ১২৫ থেকে ৩০ টাকা, মুগ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ছোলা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। খনজোর গ্রামের মোতালেব মন্ডল জানান, কাঁচা বাজারের কোন তরকারীর দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকার নিচে নেই। যার ফলে তার মত অল্প আয়ের লোকদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। নওদুলি এলাকার ছাত্তার বলেন, বর্তমানে সাধারন মানুষ বাজার করতে গিয়ে অল্প কিছু কিনেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এতে করে সংসার চালাতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাধারন মানুষ অতিমাত্রায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়বে। উপজেলা কাচা বাজার দোকানী আঃ রাজ্জাক বলেন, গড়ে ৪০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। উচ্চ মূল্যে তারা কাচা তরকারী কিনছেন তাই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অতি বৃষ্টিতে সবজির গাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই পাইকারী বাজারে দাম বৃদ্ধি হওয়ায় খুচরা বাজারেও বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে তারা মনে করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ জানান, দেশের বাজারে প্রচুর পিয়াজ মজুদ আছে। কিন্তু ভারতের বাজারে হঠাৎ পেয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি মূল্য বেশি পড়ছে। একারনে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে পেয়াজের মুল্য বৃদ্ধি করেছে।  এছাড়া আত্রাইসহ উত্তর অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাতে সবজি গাছ মরে যাওয়ায় সজির দাম বেড়ে গেছে বলে তিনি জানান। তবে সাধারণ মানুষ মনে করেন নিয়মিত বাজার মনিটারিং করা হলে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।

নিউজবাংলা/একে