নিউজবাংলা: ২৬আগষ্ট, বুধবার:

এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী, স্বপ্নের নগরী হবে হবিগঞ্জ। এখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশের মতোই সুন্দর ঝকঝকে হবে পুরো অঞ্চল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অন্যান্য অবকাঠামোর উন্নয়ন হবে চোখে পড়ার মতো।

কিন্তু সেই প্রত্যাশায় কতটুকু পূরণ হয়েছে হবিগঞ্জবাসীর। আলোকিত শহর, আলোকিত হবিগঞ্জের স্বপ্ন এখনো কি অন্ধকারে নাকি অনেকটাই পূরণ হয়েছে। স্থানীয়রা বলছে সেই প্রত্যাশা কিছুটা পূরণ হলেও অনেকটাই পূরণ হয়নি। শিক্ষা, চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেকটা প্রত্যাশা পূরণ হলেও ময়লা আবর্জনা আর অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার শহর এখনো রয়েই গেছে হবিগঞ্জ।

জেলার অধিকাংশ রাস্তা ঘাট এখন মৃত্যু ফাদে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, জেলা শহরের ঘাটিয়া বাজার, চৌধুরী বাজার, বানিজ্যিক এলাকা, পৌর বাস টার্মিনাল এবং উমেদ নগর শিল্প এলাকাসহ আরো অনেক রাস্তার বেহাল অবস্থা। বহুদিন ধরে সংস্কার না করায় স্থানে স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে ছোট ছোট পুকুর তৈরী হয়ে যায়। এতে করে প্রতি নিয়তই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। অনেক স্থানে আবার জলের সাথে কাদা মিশে রাস্তার মধ্যেই ফসলি জমির সৃষ্টি হয়েছে।

চৌধুরী বাজারের ফল বিক্রেতা কবির মিয়া জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানে জলা আর কাদায় একাকার হয়ে যায়। এতে করে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী জণ সাধারণের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। অতচ এই রাস্তাটি জেলার ৩টি উপজেলার এক মাত্র প্রবেশদার।

বাস চালক সুলতান মিয়া জানান, রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত হওয়ায় গাড়ি চালাতে অনেক সমস্যা হয়। তাছাড়া প্রতিদিনই গাড়ির ৫-৬ স্পিং ভেঙ্গে যায়। এতে করে আমাদের অতিরিক্ত টাকা ব্যায় হয়।

সিএনজি চালক মাসুদ আহমেদ জানান, তিন চাকার ছোট গাড়ি হওয়ায় একটু ভুল চালালেই গর্তে পড়ে উল্টে যায়। এ ছাড়া বর্তমানে মহাসড়কে সিএনজি চলাচল নিষেধ হওয়া আমরা এখানে এসেও বিপাকে পড়েছি।

তিনি বলেন, সবসময় হতাশার মধ্যে গাড়ি চালাতে হয়, কখন জানি দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের জীবনের নিরাপত্তাও নেই।

এদিকে, হবিগঞ্জ-বানিয়াচং রাস্তার অবস্থা বর্ণনা করার বাহিরে। স্থানে স্থানে গর্ত হয়ে বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছরেরও উপরে চলছে এই রাস্তাটি সংস্কার করা হয় না। অবশেষে গত বছর এ রাস্তার মেরামতের জন্য টেন্ডার ঘোষণা করা হয়ে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কটি সংস্কারের কাজ হাতে নেয়। এজন্য ৭ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু নানা টালবাহানার কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বিলম্বে কাজ শুরু করেন। পরে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ২০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে মাত্র ৬/৭ কিলোমিটার রাস্তা মেরামত করার পর মে মাসের প্রথম দিকে আবার কাজ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ৪ মাস ফেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ রাস্তার কাজে হাত লাগায়নি কর্র্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টি শেষ হলেই আবার কাজ শুরু করা হবে।

নিউজবাংলা/একে