নিউজবাংলা: ২৯আগষ্ট, শনিবার:
ঢাকা: গ্রিসের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ভাসিলিকি থানৌর (৬৫) নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ নেয়।

দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন।

 

আগামী মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পরিচালনা করবে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত গ্রিসের কট্টর বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সিস সিপরাস আরো বড় ম্যান্ডেটের জন্য পদত্যাগ করার পর তার স্থলাভিষিক্ত হলেন ভাসিলিকি।

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচিত সরকার শপথ নেয়ার আগ পর্যন্ত ভাসিলিকি সরকার পরিচালনা করবেন।

এ সময় বিদেশি ঋণের কিস্তি শোধের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান অভিবাসী সংকটকে সামাল দিতে হবে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীকে।

অর্থনৈকিত সংকটে পর্যুদস্ত থাকলেও গত আট মাসে দেশটিতে অন্তত ১ লাখ ৬০ হাজার অভিবাসী সাগরপথে গ্রিসে প্রবেশ করেছে।

বাংলাদেশি মডেল

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পথিকৃত মনে করা হয় বাংলাদেশকে। প্রায় ২৫ বছর আগে এ ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ এক সময় বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

আওয়ামী লীগ এ ব্যবস্থার জন্য কৃতিত্ব দাবি করলেও এই দলটিই আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছে, যার জের ধরে বাংলাদেশ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিলেও নেপাল, পাকিস্তানসহ বহু দেশই এখন এ ব্যবস্থাকে গ্রহণ করেছে।

তুরস্কেও সংসদ প্রতিনিধিত্বশীল দলকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এই তালিকায় যোগ হচ্ছে গ্রিসের নাম।

গ্রিসে প্রধান বিচারপতির অধীনে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলো এই ব্যবস্থাটি বাংলাদেশের সদ্য বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছাকাছি।
বাংলাদেশে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় তাতে সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হতেন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান।

অবশ্য ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনে স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদের পতন হলে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায় সরকারের প্রধান হয়েছিলেন।

নিউজবাংলা/একে