নিউজবাংলা: ২৯আগষ্ট, শনিবার:

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ঃ খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা সদরে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠটানটির শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টি জাতীয় করণের দাবীতে আজও মানববন্ধন করেছে উপজেলার সর্বস্তরের জনগন।

 

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষায় এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। বর্তমানে প্রতিষ্টানটিতে রয়েছে ১১শত ৮৪জন শিক্ষার্থী। এতে সাফল্যের পরও প্রতিষ্টানটি জাতীয় করণ নিয়ে চলছে নানা নাটকীয়তা। তাই পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয় করণের দাবীতে শুক্রবার বিকাল ৫টায় ও শনিবার সকাল ১১টায় মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। ২য় দিনের মতো চলা এই মানববন্ধনে পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষ ছেড়ে যখন রাস্তায় তখন অবিভাবকরাও সন্তানের মঙ্গল এবং কম খরচে সরকারী বিদ্যালয় প্রতিষ্টার সংগ্রামে নেমে আসে রাস্তায়। পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্দ্যেগে পানছড়ি বাজারের প্রধান সড়কে মানববন্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্টানটির ছাত্র/ছাত্রী, সাধারণ জনগন, অবিভাবক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিরা অংশ গ্রহণ করেন।

উভয় দিনেই চলা এই মানববন্ধনে সাধারণ জনগন ও পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন ধরণের ফেইটুন শোভা পাচ্ছিল। এতে লেখা ছিল “কম খরছে লেখা/পড়া করতে চাই” “বিধি মোতাবেক পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয় করণ করতে হবে” “ বিগত ৩ বছরের ফলাফলে পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ফলাফল উপজেলার র্শীষে” “ বিধি ভর্হিভূত ভাবে সরকারী করণ চলবে না”।

অপর দিকে সর্বকালের সর্ব বৃহৎ আজকের এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তাগন ক্ষোভের সাথে বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্র করে পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়টির সুনাম ক্ষুন্ন করার কাজে লিপ্ত। তারা আরো বলেন, নিয়ম নীতি অনুসরণ করে পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়টি জাতীয় করণ করার দাবী জানান।

এব্যপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, ছাত্র/ছাত্রীরা যা করছে তা ন্যায় ও যুক্তি সংগত। পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয় করণ না করলে সেটা হবে অন্যায়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বাহার মিয়া বলেন, ছাত্র/ছাত্রীরা যা করছে তা সঠিক এবং বাজার উচ্চ বিদ্যালয় সরকারী করণ জরুরী। পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের

প্রধান শিক্ষক জ্ঞান প্রভাত তালুকদার বলেন, মানববন্ধনের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। পানছড়ি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, এটা যেহেতু সরকারী নীতি নির্ধারণী মহলের সিদ্ধান্ত সেহেতু আমার কিছূ বলার নেই।

খাগড়াছড়ি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম শাহজাহান বলেন, উপজেলা পর্যায়ের মানসম্মত ১টি কলেজ ও ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তথ্য প্রদানের জন্য বলা হয়েছে তাই পানছড়ি মর্ডেল ও পানছড়ি ডিগ্রী কলেজের তথ্য পাঠানো হয়েছে।

নিউজবাংলা/একে