নিউজবাংলা: ০৪ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার:

তাজুল ইসলাম তছলিম, হাতিয়া(নোয়াখালী)প্রতিনিধি:

গতকাল সকাল থেকে বয়ারচর হাতিয়া বাজারে প্রায় ৩ শতাধিক গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে হাতিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনারের নেতৃর্তে ভ্রাম্যমান আদালত ও নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

হাতিয়া বাজার ব্যবসায়ীদের দোকান ভিটির মালিকানা বন্দোবস্ত না থাকায় কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার এ উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যবসায়ীদের নিজ নিজ দখলীয় ভিটি বন্দোবস্ত নেয়ার তাগাদা দিয়ে আসছিল হাতিয়া ভূমি অফিস।

ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, হাতিয়া বাজারে ফেরি ফেরি ভিটি প্রতিটি আধা ডিসিমেল হিসেবে প্রায় ৪ শতাধিক ভিটির নকসা সৃজন করে তা ভূমি মন্ত্রনালয় থেকে অনুমোদান করা হয়েছে। এসব ভিটি দখলদারদেরকে নীতিমালা অনুযায়ী বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য ভূমি অফিস থেকে বার বার নোটিশ করা সত্ত্বেও কেউ কর্ণপাত করেনি।

হাতিয়া বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, ভিটি বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য ভূমি অফিস থেকে বলা হয়েছে ঠিকই, আমরাও বন্দোবস্ত নিতে ইচ্ছুক। সমস্যা অন্য জায়গায়, তাহলো প্রতিটা আধা ডিং ভিটির জন্য ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে অফিস খরচ দাবি করা হয়েছে। এত টাকা দেয়ার জন্য কেউ রাজি নয়। তাছাড়া সরকার জনপ্রতি আধা ডিং বন্দোবস্ত দেবে কিন্তু ব্যবসায়ীদের দখলে আছে ১ থেকে ২ ডিং । এসব জটিলতায় বন্দোবস্ত নেয়া হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানায়, বন্দোবস্ত না থাকলে ভূমি অফিস দোকান-পাট বা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার ক্ষমতা রাখে। তা না করে কেবল বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে কেন ? বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার সময় ভূমি অফিস বাধা দেয়নি কেন? বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া বা বিচ্ছিন্ন করার ক্ষমতা ভূমি অফিসের আছে কি-না তাও দেখার বিষয়।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত আমারা দিই নি। আমরা গত দেড় বছর থেকে গ্রাহকদের কাছ থেকে রীতিমত রাজস্ব পেয়ে আসছি। উপজেলা ভূমি অফিসের নির্দেশে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

নিউজবাংলা/একে