নিউজবাংলা: ০৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার:

ঢাকা: এক লাখ ৬০ হাজার অভিবাসন প্রত্যার্শীকে আশ্রয় দিবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাধ্যতামূলক ভাবে আশ্রয়প্রার্থীদের চাপ ভাগাভাগি করে নিতে হবে ইইউয়ের সদস্যভুক্ত সব দেশকে বলেছেন কমিশনের প্রধান জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কার।

চলতি বছরের মে মাসে ইইউয়ের নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী ৪০ হাজার শরণার্থীকে বাধ্যতামূলকভাবে আশ্রয় দেয়ার বিধান ছিল। তবে কমিশনের আজকের ঘোষণা অনুযায়ী শুধুমাত্র চলতি বছরেই ইইউভুক্ত দেশগুলো অতিরিক্ত এক লাখ ২০ হাজার অভিবাসন প্রত্যার্শীকে আশ্রয় দিতে বাধ্য থাকবে।

অভিবাসন প্রত্যার্শীদের অন্যান্য দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ পথ হাঙ্গেরি। কিন্তু হাঙ্গেরি সরকার বরাবরই এসব শরণার্থীদের আশ্রয়ের বিষয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়ে আসছে। ইইউয়ের আজকের বৈঠকে দেশটিকে বাধ্যতামূলকভাবে ৪০ হাজার অতিরিক্ত শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে বলা হয়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ব্রাসেলসে ঘরোয়াভাবে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ভাগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশগুলোর জিডিপি, জনসংখ্যা, বেকারত্বের হার ও শরণার্থীদের আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে। যে সব দেশ শরণার্থীর নিতে অস্বীকৃতি জানাবে তাদের আর্থিক জরিমানা করা হবে।

এ ছাড়া শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার সমস্যা কবলিত দেশগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করা হবে। মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণাও রয়েছে।

ইইউ’র বাধ্যতামূলক কোটা চালুর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও রোমানিয়া।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল কোটা পদ্ধতিকে শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

চলতি বছর ৮ লাখ শরণার্থী নেবে জার্মানি। দেশটি প্রতি বছর ৫ লাখ করে শরণার্থী নিতে পারবে বলেও জানিয়েছে।

নিউজবাংলা/একে