বিশ্বনাথে মনাফ হত্যা ও কবর থেকে লাশ চুরি মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার
নিউজবাংলা – ২৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার:
বিশ্বনাথ(সিলেট )প্রতিনিধি
সিলেটের বিশ্বনাথে নিহত দিনমজুর বৃদ্ধ আব্দুল মনাফ হত্যা ও কবর থেকে লাশ উদাও হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী টিটু মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
সে উপজেলার হরিপুর গ্রামের উস্তার আলীর পুত্র। ঈদের দিন শুক্রবার রাত ৮টায় তার নিজ বাড়ি থেকে ডিবি পুলিশের এস.আই দেব দুলালের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল টিটু মিয়াকে গ্রেফতার করে। একই ঘটনায় টিটুর পিতা উস্তার আলী ও ছোট ভাই মিন্টু মিয়া জেলহাজতে আটক রয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত জবান আলীর পুত্র আব্দুল মনাফ (৫৫) গত ১৬ মে বিকেল থেকে নিখোঁজ হন। এরপর ১৮ মে সন্ধ্যায় বাদীর বসত ঘরের সম্মুখের গোয়াল ঘরে র্দুগন্ধ পেয়ে নিখোঁজ আব্দুল মনাফের স্ত্রী সেখানে গিয়ে দেখতে পান তার স্বামীর লাশ। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরদিন আব্দুল মনাফকে হত্যার অভিযোগে গ্রামবাসী হরিপুর গ্রামের অভিযুক্ত উস্তার আলী ও তার ছেলে মিন্টু মিয়াকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। অবশ্য পরে তারা জামিন লাভ করেন। এরপর আব্দুল মনাফকে হত্যার অভিযোগে তার ভাই আব্দুল হাশিম বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৪/৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে গত ২৫ মে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এ একটি দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন (বিশ্বনাথ সি.আর মামলা নং- ১৪১/২০১৫)। ওই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- হরিপুর গ্রামের উস্তার আলীর পুত্র টিটু মিয়া (২৫), তার পিতা উস্তার আলী (৫৫), ভাই মিন্টু মিয়া (২২), লুৎফুর (৩২), একই গ্রামের মৃত মজর আলীর পুত্র কবিরুল (৩৫) ও মৃত ময়না মিয়ার পুত্র ফরিদ মিয়া (৪৫)।
লাশ দাফনের ২ মাস ১৩ দিন পর আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়না তদন্তে জন্য গত ৪ আগস্ট সকালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুহেল মাহমুদ ও সিলেটের সিভিল সার্জন ডাঃ মো. হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে নিহত মনাফের কবর খোঁড়া হয়। কবর খোঁড়ার পর কবরে লাশের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কবরে লাশের পরিবর্তে পাওয়া যায় কাফনের কাপড়, নীল রংয়ের পলিথিন ও প্লাস্টিকের সুতলি।
এরপর গত ১০ আগস্ট সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-২ নজরুল ইসলাম আসামী উস্তার আলী ও তার ছেলে মিন্টু মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মামলাটি বর্তমানে ডিবি পুলিশের তদন্তাধিন রয়েছে।
নিউজবাংলা/একে