নিউজবাংলা: ৮ অক্টোবর, বৃহ.বার:

ঢাকা: দুই বিদেশি হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের হাত রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের এমন মন্তব্যের পর এবার একই মন্তব্য করলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস করতে গিয়ে ৬০০ জনের বেশি মানুষ হাতেনাতে ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে ১০/১২ জন ছাড়া বাকি সবাই বিএনপি-জামায়াতের কর্মী। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। এই আগুন যুদ্ধ-জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসে তাদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে।’

ইনু বলেন, ‘এই আগুন সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কিন্তু পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারিনি। যার কারণে এখনো ছিটেফোঁটা আক্রমণ হচ্ছে। এই আক্রমণ বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নাকি বিএনপি-জামায়াত চক্রের গভীর ষড়যন্ত্রের আরেকটা নতুন পন্থা-এসব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

জাসদ সভাপতি বলেন, ‘এসব খুনের ঘটনা প্রশাসন তদন্ত করছে। তবে আমি নিশ্চিত, এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে।’

ইনু বলেন, বিএনপি জামায়াতের নেতারা বলছেন, ‘জঙ্গিবাদী কিছু নেই। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। এই কথার মধ্য দিয়ে আসলে তারা জঙ্গিবাদকে আড়াল করার চেষ্টা করছে, খুনিদের রক্ষার চেষ্টা করছে এবং নিজেদের আগুন যুদ্ধের মামলার বিচার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ও তার মিত্ররা ক্ষমতায় থাকার সময় যেভাবে জঙ্গিবাদকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে, এখনো তারা একই কৌশল গ্রহণ করেছে। তবে তথ্য বলছে, প্রত্যেকটা খুনের সঙ্গে জেএমবি, জামায়াত, বিএনপি এদের কেউ না কেউ জড়িত।

ভারতীর গোয়েন্দা সংস্থার পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাসদ নেতা বলেন, দেশে-বিদেশে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আছে, এটা বিশ্লেষণ করছে। প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য চূড়ান্ত তথ্য নয়। সেই তথ্যের বিশ্লেষণ হয়। সেখান থেকে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে ইতালীয় এনজিওকর্মী চেজারে তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর শনিবার সকালে রংপুরে একই কায়দায় খুন হন জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও।

 

সূত্র- ঢাকাটাইমস

 

নিউজবাংলা/একে