নিউজবাংলা: ২০ ডিসেম্বর, রোববার:
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পিলখানা বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এই বাহিনী কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। তিনি আশা করেন, বিজিবির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে কখনো এ ধরনের আত্মঘাতী সংঘাত যেন সৃষ্টি না হয় সে জন্য বিজিবির সদস্যদের সদাসতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আজ রোববার বিজিবি দিবস উপলক্ষে পিলখানায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বিজিবিকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ যাতে বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে চলতে পারে, সেভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন ইপিআরের দুঃসাহসী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। সে সময় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডেকে ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁকে সেই ন্যক্কারজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছিল। সবার সহযোগিতায় সেদিনের সেই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছিল। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
তিনি বলেন, সেই বিদ্রোহে জড়িত বিজিবির উচ্ছৃঙ্খল সদস্যদের শাস্তি দেয়া হয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার করে বিজিবিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাহিনী কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে এরকম আত্মঘাতী সংঘাত যেন না হয়, সে জন্য বিজিবির সদস্যদের সদাসতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সীমান্তে দায়িত্বপালনে বিজিবি আগের চেয়ে অনেক বেশি সফলতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার কমেছে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়েছে।
বিজিবিকে আধুনিক করতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments